৩ বছরের শিশুকে ধর্ষণ, পিটুনি দিয়ে কলেজছাত্রকে পুলিশে দিলো প্রতিবেশীরা
চট্টগ্রামে তিন বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে এক পুলিশ। নগরীর বন্দর থানাধীন মাইলের মাথা এলাকা থেকে মঙ্গলবার রাত নয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
বন্দর থানার ওসি নিজাম উদ্দিন বলেন, ওই তরুণ মঙ্গলবার বিকেলে ওই শিশুকে কৌশলে নিজের খালি বাসায় নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। শিশুর চিৎকারে প্রতিবেশীরা গিয়ে তাকে উদ্ধার করে তরুণকে তখনই পিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন তারা।
এরপর শিশুটির মা রাতে বন্দর থানায় গিয়ে মামলা করেন।
এসএস
মন্তব্য করুন
মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারকে পেটানো কে এই যুবক
বরগুনা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার হারুন অর রশিদকে মারধর ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ফারুক মোল্লার ছেলে শাওন মোল্লার বিরুদ্ধে।
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মারধরের ঘটনাটি ঘটে।
ভাইরাল ৩ মিনিট ৪২ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হারুন অর রশিদকে চড়-থাপ্পড় মারছেন শাওন মোল্লা। এ সময় এক পথচারী শাওন মোল্লাকে বাধা দিলে তাকেও ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেন তিনি। এরপর সদর থানার পুলিশ সদস্য আলমগীর হোসেন এসে শাওন মোল্লাকে সরিয়ে দেন।
ভিডিওতে আবদুর রশিদকে বলতে শোনা যায়, আমি কখনো আওয়ামী লীগের প্রোগ্রামে ছিলাম না। কোনো দুর্নীতি করিনি। যদিও এ সময় শাওন মোল্লা তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহা. রফিকুল ইসলাম বলেন, মারধর করা হয়েছে বলে শুনেছি। একজন বয়স্ক মানুষকে মারধরের ঘটনা অপ্রত্যাশিত।
বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোতালেব মৃধা বলেন, একজন বৃদ্ধ লোকের সঙ্গে এমনটা না হলে ভালো হত। তিনি যদি অপরাধ করে থাকেন তার জন্য আইন আছে। বিষয়টি দুঃখজনক।
তবে বরগুনা জেলা বিএনপির নেতাদের অভিযোগ, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবদুল রশিদ মিয়া মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ফারুক মোল্লাসহ বেশ কয়েকজন নেতার কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। এ ছাড়া, তার সুপারিশে কয়েকজন বিএনপির নেতার নাম মুক্তিযোদ্ধার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এসব নিয়েও ক্ষিপ্ত ছিলেন শাওন মোল্লা।
এ বিষয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রশিদ বলেন, আজ বেলা ১১টার দিকে আমি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে যাই। সেখানে ফারুক মোল্লার ছেলে শাওন মোল্লাসহ আরও অনেক উপস্থিত ছিল। আমাকে শাওন ডেকে বাইরে নিয়ে যায়। এরপর আমাকে নানা ভাষায় গালাগালি করে। সেখানে অনেক লোক ছিল। আমি এই ঘটনায় আইনি পদক্ষেপ নিব।
বীর মুক্তিযোদ্ধাকে মারধরের বিষয়ে শাওন মোল্লা বলেন, আমাদের দলের ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম মনিকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করার বিষয়ে তার কাছে জানতে চাই। পরে তার সঙ্গে আমার বাগ্বিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে তাকে আমি মারধর করি। এ ছাড়া তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় আমার বাবার নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আমার কাছ থেকে তিন লাখ টাকা নিয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের দালাল হিসেবে পরিচিত।
পরকীয়া প্রেমিকের পাওনা টাকা না দেওয়ায় ট্রিপল মার্ডার
কুমিল্লার হোমনার বড় ঘাগুটিয়া এলাকার তিন জনকে খুনের রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। মূলঘাতক আক্তার হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ক্লুলেস একটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনার রহস্য উদঘাটন হওয়ায় জনমনে স্বস্তি বিরাজ করছে।
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপার আশফিকুজ্জামান আক্তার। এর আগে শুক্রবার রাতে হোমনার শ্রীমদ্দি চরেরগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে ঘাতক আক্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জেলা পুলিশ জানায়, মোবাইল টেকনোলজি এবং বেশ কয়েকটি আলামতের ভিত্তিতে ঘাতক আক্তার হোসেনকে সন্দেহের আওতায় আনা হয়। পরে অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জানা গেছে, নিহত মাহমুদার সঙ্গে হোমনার শ্রীমদ্দি চরেরগাঁও এলাকার হক মিয়ার ছেলে আক্তারের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে পরকীয়া প্রেমিক আক্তার হোসেনের কাছ থেকে সে ৪০ হাজার টাকা ধার নেয়। সেই টাকা ফেরত দেব-দিচ্ছি করে আক্তারকে ঘুরাতে থাকেন মাহমুদা। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কয়েক দফা বাগবিতণ্ডা হয়। গত বুধবার সন্ধ্যায় আক্তারকে তার পাওনা টাকা ফেরত দেবেন বলে বাড়িতে ডাকেন মাহমুদা। পরে রাতে একসঙ্গে খাওয়া দাওয়া করেন মাহমুদা, ঘাতক আক্তার, মাহমুদার ছেলে সাহেদ এবং মাহমুদার ভাতিজি তিশা মনি। খাওয়া শেষে তিশা ও শাহেদ ঘুমিয়ে গেলে গভীর রাতে ঝগড়া বাঁধে মাহমুদা ও আক্তারের মধ্যে। ঝগড়ার একপর্যায়ে মাহমুদাকে মাথায় আঘাত করে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করেন আক্তার। পরে আক্তার ভাবতে থাকে তিশা ও শাহেদ তো আক্তারকে দেখেছে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা যদি আক্তারের কথা বলে দেয় সেই আশঙ্কা থেকে তাদের দুজনকেও গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করে মরদেহ তিনটি এক খাটের ওপর রেখে পালিয়ে যান ঘাতক আক্তার।
হোমনা থানার ওসি জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘তিনজনকে হত্যার ঘটনায় নিহত মাহমুদার বাবা বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করার পর ঘটনার রহস্য উদঘাটনে নামে পুলিশ। তদন্তের মাধ্যমে পুলিশ হত্যাকারী আক্তারকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে শ্রীমদ্দি চরেরগাঁও এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। শনিবার বিকেলে আদালতে ঘটনার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন ঘাতক আক্তার।’
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার সকালে কুমিল্লার হোমনার একটি বসতবাড়ি থেকে মো. শাহপরানের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার (৩৫), তাদের ৯ বছরের ছেলে সাহাত এবং প্রতিবেশী মামাতো ভাইয়ের মেয়ে তিশার (১৪) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে বুধবার গভীর রাতে তিনজনকে হত্যা করে মরদেহ একটি খাটের ওপর ফেলে রাখা হয়। এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার রাতেই নিহত মাহমুদার বাবা আবুল হোসেন বাদী হয়ে হোমনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ভল্ট থেকে ৭৫ লাখ টাকা নিয়ে উধাও ব্যাংক কর্মকর্তা
কুমিল্লার চাঁদপুরে মতলব উত্তরে অগ্রণী ব্যাংকের ছেংগারচর বাজার শাখার ভল্ট থেকে ৭৫ লাখ টাকা নিয়ে ব্যাংকটির ক্যাশ কর্মকর্তা দীপঙ্কর ঘোষ (৩৭) পালিয়ে গেছেন।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপক ইউসুফ মিয়া ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সানোয়ার হোসেন।
জানা যায়, গত ২৯ জুলাই টাকা নিয়ে উধাও হওয়ার পর থেকে ওই কর্মকর্তা আর ব্যাংকে আসেননি। তার বাসা তালাবদ্ধ। মুঠোফোন নম্বরও বন্ধ। এ ঘটনায় মতলব উত্তর থানায় একটি মামলা করেছেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপক মো. ইউসুফ মিয়া। অর্থ আত্মসাতের ঘটনা তদন্তে ঢাকার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের উদ্যোগে চার সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে। বর্তমানে থানা ও ব্যাংকের উদ্যোগে ঘটনাটির তদন্ত চলছে।
স্থানীয়রা জানান, অভিযুক্ত ব্যাংক কর্মকর্তা দীপঙ্করের বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলায়। তিনি ২০১৯ সালে অগ্রণী ব্যাংকের মতলব উত্তর থানার ছেংগারচর বাজার শাখায় যোগদান করেন। তিনি উপজেলার ছেংগারচর এলাকায় ছেংগারচর সরকারি ডিগ্রি কলেজের পাশে একটি ভাড়া বাসায় একা থাকতেন। শেষ ২৮ জুলাই সন্ধ্যা পর্যন্ত কর্মস্থলে ছিলেন দীপঙ্কর ঘোষ। ওই দিন সন্ধ্যায় ব্যাংকের ভল্টে ১ কোটি ২ লাখ টাকা জমা রাখেন ব্যাংকটির শাখা কর্তৃপক্ষ। ভল্টের চাবি ছিল ক্যাশ কর্মকর্তা দীপঙ্করের কাছে। তিনি সেখান থেকে গোপনে ৭৫ লাখ ২০ হাজার টাকা নিয়ে বাসায় চলে যান। পরে বাসায় তালা দিয়ে ওই দিন রাতেই কাউকে কিছু না জানিয়ে চলে যান। পরদিন ২৯ জুলাই ব্যাংকের ব্যবস্থাপক ও অন্যা কর্মকর্তারা এসে দেখেন, ব্যাংকের ভল্ট খোলা এবং সেখানে ৭৫ লাখ ২০ হাজার টাকা নেই। এরপর থেকে দীপঙ্করের কোনো হদিস পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক মো. ইউসুফ মিয়া বলেন, অর্থ আত্মসাতের ঘটনা তদন্তে ঢাকার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের উদ্যোগে চার সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে। সেখানকার একজন জ্যেষ্ঠ প্রধান কর্মকর্তার (এসপিও) নেতৃত্বে ২ আগস্ট থেকে তদন্ত ও নিরীক্ষা (অডিট) চলছে। প্রাথমিক তদন্তে ওই ক্যাশ কর্মকর্তা ব্যাংকের ভল্ট থেকে ৭৫ লাখ ২০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে সত্যতা পাওয়া গেছে।
অভিযোগের ব্যাপারে ওই কর্মকর্তার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার মুঠোফোনের সংযোগ বন্ধ পাওয়া যায়।
অগ্রণী ব্যাংকের চাঁদপুর অঞ্চলের ডিজিএম তপন চন্দ্র সরকার বলেন, ঘটনাটির তদন্ত চলছে। প্রাথমিক তদন্তে অর্থ আত্মসাতের সত্যতা মিলেছে। চূড়ান্ত তদন্তে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের প্রমাণ পেলে ব্যাংকিং আইনে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মতলব উত্তর থানার ওসি সানোয়ার হোসেন বলেন, ব্যাংকের অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় করা মামলার তদন্ত চলছে। আসামিকেও গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
আরটিভি/এমকে/এসএ
এবার মাশরাফীর বিরুদ্ধে মামলা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকালে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগে এবার ক্রিকেটার ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংসদ মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা ও তার বাবা গোলাম মোর্ত্তজা স্বপনসহ ৯০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে নড়াইল সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন শেখ মোস্তফা আল-মুজাহিদুর রহমান পলাশ।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, কোটা সংস্কার আন্দোলনকালে ছাত্র-জনতাকে রুখতে মাশরাফী ও তার বাবার নেতৃত্বে আসামিরা গত ৪ আগস্ট দুপুর আড়াইটার দিকে রামদা, ছুরি, চাইনিজ কুড়াল ও লোহার রডের মতো দেশীয় অস্ত্রের পাশাপাশি শর্টগান, বন্দুক-পিস্তল ও বোমা নিয়ে নড়াইল চৌরাস্তায় সমাবেশ করে। সমাবেশ চৌরাস্তা থেকে চিত্রা নদীর ওপর রাসেল সেতুর পূর্বপাড় পর্যন্ত বিস্ততৃ ছিল। ওই সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা ও নিরীহ শান্তিকামী জনতা স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের দাবিতে মিছিল নিয়ে শহর অভিমুখে আসছিল।
রাসেল সেতুর কাছাকাছি পৌঁছাতেই মাশরাফী ও তার বাবার নেতৃত্বে আসামিরা আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার ওপর হামলা চালায়। রামদা, ছুরি, চাইনিজ কুড়াল ও লোহার রড দিয়ে হামলার পাশাপাশি আন্দোলনকারীদের ওপর শর্টগান ও পিস্তল থেকে গুলিবর্ষণ করা হয়। বিস্ফোরণ ঘটানো হয় বোমার। বৃষ্টির মতো নিক্ষেপ করা হয় ইট-পাটকেল।
এতে বহু আন্দোলনকারী গুরুতর আহত হন। তাদের অনেকেই পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন এবং এখনও চিকিৎসাধীন।
আরটিভি নিউজ/এসএপি-টি
দাদির জন্য খাটিয়া আনতে গিয়ে ৩ যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু
মসজিদ থেকে খাটিয়া বহন করে বাড়িতে আনতে গিয়ে নড়াইলের লোহাগড়ায় ট্রাকের ধাক্কায় তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি আছেন একজন।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে লোহাগড়ার আশ্রয়ণ প্রকল্পের সামনে (গুচ্ছগ্রাম) মাইটকুমড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, পৌরসভার মাইটকুমড়া গ্রামের হেমায়েত শেখের ছেলে শামিম শেখ (৩০), একই গ্রামের রমজান বিশ্বাসের ছেলে জিয়া বিশ্বাস (৪০) ও একই গ্রামের জামাল মোল্যার ছেলে রাসেল মোল্যা (২০)। এ ছাড়া আহত হয়েছেন একই গ্রামের হবিবার শেখের ছেলে কুইন শেখ (৩৫)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত রাসেল মোল্যার বৃদ্ধা দাদির লাশ দাফনের জন্য মসজিদ থেকে খাটিয়া বহন করে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছিল তারা। কালনা-নড়াইল-বেনাপোল মহাসড়কের মাইটকুমড়া এলাকায় পৌঁছালে লোহাগড়ার দিক থেকে আসা দ্রুতগামী ট্রাক খাটিয়া বহনকারীদের ধাক্কা দেয়। ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই ৩ জন নিহত হন, একজন আহত হন।
স্থানীয়রা আহত কুইন শেখকে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে লোহাগড়া থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে তিনি জানান।
চলন্ত বাসে নারীকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ২
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার মইজ্জ্যারটেক এলাকায় একটি চলন্ত বাসে এক নারী গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। বাসটির ড্রাইভার-হেলপার মিলে নারীকে ধর্ষণ করার অপরাধে থানায় মামলা হলে ঘটনায় জড়িত দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে সিএমপির কর্ণফুলী থানা পুলিশ। সোমবার সন্ধ্যায় নগরীর বাকলিয়া থানাধীন নতুন ব্রিজ বাসস্ট্যান্ড থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কর্ণফুলী থানার ওসি তদন্ত মেহেদী হাসান।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামের রাজা তালুকতার বাড়ির মো. ছৈয়দুল হকের ছেলে হেলপার সাহেদুল ইসলাম মিজান (১৯) ও পটিয়া উপজেলার জিরি ইউনিয়নের ভেল্লাপাড়া গ্রামের জামাল মেম্বার বাড়ির মৃত হাশেম খানের ছেলে ড্রাইভার মো. আজাদ খান প্রকাশ রানা (২০)।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৬ সেপ্টেম্বর ভুক্তভোগী নারী রাত সাড়ে ৯টার সময় পটিয়ার মনসা বাদামতল এলাকা থেকে মিনিবাসে ওঠে চট্টগ্রাম শহরের বাসায় আসার উদ্দেশ্যে রওনা হন। বাসের অন্যান্য যাত্রীরা মইজ্জ্যারটেক মোড়ে নেমে গেলে ভিকটিম নারী বাসে একা হয়ে যান। পরে বাসটি শাহ আমানত সেতুর টোলপ্লাজা পার হতেই তাকে একা পেয়ে হেলপার মিজান চলন্ত গাড়িতে ধর্ষণ করেন। পরে বাসটি নতুনব্রিজের চত্বর ঘুরে আবারও সেতু পার হয়ে পটিয়ার দিকে রওনা হলে ড্রাইভারও নারীকে ধর্ষণ করেন। পরে বাসটি বিভিন্ন জায়গা ঘুরে পটিয়া শান্তিরহাট বাজারে এসে ভিকটিমকে ফেলে পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী কর্ণফুলী থানায় হেলপার ড্রাইভার দুজনের নামে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কর্ণফুলী থানার ওসি তদন্ত মেহেদী হাসান বলেন, ‘ধর্ষণের ঘটনায় দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।’
ভারতে পালানোর সময় সাবেক এমপি ফজলে করিম আটক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে পালানোর সময় চট্টগ্রাম-৬ আসনের সাবেক এমপি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীকে আটক করা হয়েছে। এ সময় তার দুই সহযোগীকেও আটক করা হয়। তারা হলেন, নুরপুর এলাকার একাধিক মামলার আসামি হান্নান মিয়া মেম্বার এবং আব্দুল্লাহপুর এলাকার কবির ভূঁইয়ার ছেলে নাঈম মিয়া।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, ভারতে পালানোর সময় আখাউড়ার গাজীরবাজার থেকে ফজলে করিম চৌধুরীসহ তার দুই সহযোগীকে আটক করা হয়েছে।
ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে আত্মগোপনে ছিলেন ফজলে করিম চৌধুরী। ইতোমধ্যে তার বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম ও রাউজানে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০০১ সাল থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে টানা পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী।
গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করলে তিনি সংসদ সদস্য পদ হারান।
আরটিভি/এবি/এ