কঠোর লকডাউনে যাত্রী পারাপার নিয়ন্ত্রণ করার লক্ষ্যে নদীতে চেক পোস্ট বসিয়েছে নৌ-পুলিশ। যৌক্তিক কারণ ছাড়া কেউ যেন নদী পার হতে না পারে তা নিশ্চিত করার জন্য নৌ-পুলিশের দুটি টিম নদীতে পাহারা বসিয়েছে। কঠোর লকডাউনে নোয়াখালী দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় সকল ধরনের যাত্রী পারাপার বন্ধ থাকলেও কিছু জেলে নৌকা গোপনে যাত্রীপার করে আসছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এসব জেলে নৌকায় কেউ যেন নদী পারাপার করতে না পারে এ জন্য পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে হাতিয়া নলচিরা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আকরাম উল্যা।
জানা যায়, হাতিয়া একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হওয়ায় মূলভূখণ্ড থেকে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হলো নদী পথ। নদী পার হয়ে এই দ্বীপের মানুষদের জেলা সদর , রাজধানী ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যেতে হয়। কঠোর লকডাউন ঘোষণার পর থেকে এই দ্বীপের সাথে সকল ধরনের যাত্রী পারাপার বন্ধ করে দেয় উপজেলা প্রশাসন। অনেকে জরুরি প্রয়োজনে যেতে চাইলে নিতে হয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অনুমতি।
এদিকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আটকে থাকা যাত্রীরা অবৈধভাবে জেলে নৌকা ব্যবহার করে হাতিয়া আসছে। এই সংবাদ পেয়ে উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে গত তিনদিন থেকে নদীতে নৌ-পুলিশের দুটি টিম টহল দিচ্ছে। তারা নদী পার হয়ে আসা বিভিন্ন মালবাহী ট্রলার ও রোগী নিয়ে আসা ট্রলারে তল্লাশি করছে।
নৌ-পুলিশের এসব টিম নদীতে অবাধে যাত্রী পারাপার নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ছেড়ে আসা লাইটার জাহাজের নাবিকরা যেন উপরে উঠতে না পারে তাও নিয়ন্ত্রণ করছে। কারণ এসব লাইটার জাহাজের নাবিকরা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিচরণ করেন। তাদের মাধ্যমেও করোনা মহামারি ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।
নদীতে টহলের পাশাপাশি হাতিয়ার মূলভূখণ্ডে কাজ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের দুটি টিম। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইমরান হোসেন ও উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি সজিব কান্তি রুদ্রর নেতৃত্বে দুটি টিম মাঠে কাজ করছে।
এসআর/