চলমান লকডাউন উপেক্ষা করে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে যাত্রী ও ব্যক্তিগত গাড়ি পারাপার হচ্ছে। এ সময় চেকপোস্টে নানা অজুহাত দেখিয়ে শত শত যাত্রী পদ্মা পাড়ি দিচ্ছেন। বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) সকালে ফেরিঘাট এলাকায় গিয়ে এই চিত্র দেখা যায়।
ফেরিঘাট দেখা যায়, পুলিশের চেকপোস্ট ও ঘাট এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হলেও যাত্রীরা দেখাচ্ছে নানা অজুহাত। এ সময় হাসপাতালে যাওয়া, টিকা গ্রহণ, পরিবারের সদস্যরা অসুস্থ বলে চলাচল করছে যাত্রীরা। অন্যদিকে বাংলাবাজার থেকে শিমুলিয়াঘাটে পৌঁছে ঢাকামুখী যাত্রীরা সড়কে পুলিশের চেকপোস্ট এড়িয়ে ছোট যানবাহনে ভেঙে ভেঙে রওনা হচ্ছে। অনেকেই লকডাউন উপেক্ষা করে শিমুলিয়া থেকে ভাড়ায় চালিত মাইক্রোবাসে করে ঢাকায় রওনা হতে দেখা গেছে যাত্রীদের।
শরিফুল ইসলাম নামে এক যাত্রী আরটিভি নিউজকে বলেন, মায়ের শরীর অনেক খারাপ। এই কারণে ঢাকায় যাচ্ছি। ঈদ করতে গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলাম। তবে মা ঢাকায় থেকে গিয়েছিল। এখন উনার শরীর ভালো না। তাই জরুরি খবর পেয়ে রওনা হয়েছি।
লোকমান হোসেন নামে আরেক যাত্রী আরটিভি নিউজকে বলেন, প্রায় দুমাস আগে চাকরি চলে গিয়েছিল। তখন ঢাকা থেকে চলে গিয়েছিলাম। এখন ঢাকা না গেলে না খেয়ে থাকতে হবে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডাব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) ফয়সাল হোসাইন বলেন, নৌরুটে ৪টি রোরো, ৩টি মিডিয়াম মিলিয়ে ৭টি ফেরি সচল রয়েছে।
জিএম