স্যালোইঞ্জিন চালিত অবৈধ যানবাহনগুলো সিরিয়াল মেনে বিভিন্ন সড়কে চলছে আগের মতই। ইজিবাইক আর ব্যাটারি চালিত পাখিভ্যান দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অলিগলি থেকে আঞ্চলিক মহাসড়কে। শহরের সড়কগুলোর যানজট ছাড়াতে মাঝে মাঝে পুলিশের সহযোগিতাও প্রয়োজন হচ্ছে।
অপরদিকে গার্মেন্টস, ইলেকট্রনিক্স আর কসমেটিকস দোকান বাদে অন্য সব দোকানও খোলা রয়েছে। সবচেয়ে কঠোর বিধিনিষেধ বা লকডাউনে এমন চিত্র এখন মেহেরপুর জেলার। রোববার (১ আগস্ট) বিকেলে এই চিত্র দেখা যায়।
জানা গেছে, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে দোকানীদের চলছে অনেকটাই চোর পুলিশ খেলা। অভিযান দল চলে গেলেই খোলা হচ্ছে দোকান। আর গ্রামের অলিগলির দোকান তো বন্ধের প্রয়োজনই নেই। এমন পরিস্থিতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাস শ্রমিকরা। তারা বলেন, লকডাউন শুধু বাসের জন্য। অন্য সবার আয়-উপার্জন থেমে নেই। শুধুমাত্র বাস শ্রমিকরা কর্মহীন হয়ে অনেকে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মেহেরপুর শহরের প্রধান সড়কে সকাল থেকে রাত অবধি বিভিন্ন প্রকার যানবাহনের জট। যানবাহনের চাপে বড় বাজার থানা মোড় থেকে শুরু করে হোটের বাজার মোড় পর্যন্ত পায়ে হেঁটে যাওয়ায় দুষ্কর। মোটর সাইকেল, ইজিবাইক, ব্যাটারিচালিত রিক্সা ও ভ্যান, স্যালোইঞ্জিন চালিত অবৈধ যানবাহন এবং পণ্যবাহী বিভিন্ন যান চলাচলে শহরের সড়কে জটলা লেগেই আছে।
এদিকে একই চিত্র গাংনী ও মুজিবনগরের। জেলার সড়কগুলোতে আগে যেভাবে সিরিয়ার মেনে অবৈধ যানবাহন চলাচল করতো এখনও সেভাবেই চলছে। এসব যানবাহন পরিচালনার দায়িত্বে যারা আছেন (স্টাটার) তারা মহাদাপটেই বিভিন্ন সড়কে যাত্রী বোঝাই করে যানবাহন ছাড়ছেন। সড়কে বাস না থাকায় অবৈধ যানবাহনগুলোই এখন মানুষ চলাচলের অবলম্বন।
ক্ষোভ প্রকাশ করে বাস চালক করিম আরটিভি নিউজকে জানান, সবই চলছে বন্ধ শুধু বাস। অন্য কোন পেশার মানুষ কর্মহীন হয়নি শুধু বাস শ্রমিকরা ছাড়া। বাস শ্রমিকরা সম্পূর্ণ কর্মহীন হলেও সরকারি যে সহায়তা দেয়া হয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় তেমন কিছুই না।
জিএম