কক্সবাজারের চকরিয়ায় ৬ মাস ধরে ১৩ বছরের কিশোরীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে মায়ের দ্বিতীয় স্বামীর বিরুদ্ধে। গত তিনদিন আগেও মায়ের অনুপস্থিতির সুযোগে সৎ বাবা ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে।
এতদিন ঘটনাটি গোপন রাখলেও সৎ বাবার নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে অবশেষে বিষয়টি স্থানীয়দের কাছে প্রকাশ করেছে ওই কিশোরী। এর পর কিশোরীর মা বাদী হয়ে রোববার (০১ আগস্ট) কক্সবাজারের চকরিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে। এ চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মোহছেনিয়া কাটা গ্রামে।
এ ঘটনায় জড়িত ধর্ষক সৎ বাবাকে আটক করেছে পুলিশ। এরপর সোমবার দুপুরে তাকে আদালতে তোলা হয়। এ সময় ভিকটিম কিশোরী আদালতের বিচারকের কাছে ১২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে ধর্ষক সৎ বাবাকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন আদালত। আটক ধর্ষক সৎ বাবার নাম মো. আবদুল আলীম (৪৪) । সে কক্সবাজারের রামু উপজেলার ধোয়াপালং মিলঘর গ্রামের মজি উল্লাহর ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ধর্ষিতা কিশোরীর মা প্রায় দশ বছর পূর্বে প্রথম স্বামীকে তালাক দিয়ে দ্বিতীয় স্বামী হিসেবে গ্রহণ করে ধর্ষক আবদুল আলিমকে। এর পর থেকে আলিম স্ত্রীর সাথে চকরিয়ার বরইতলীতে বসবাস করে আসছিল।
চকরিয়া থানার পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কিশোরীর মা ভিক্ষাবৃত্তি এবং বিভিন্ন বাড়িতে ঝিঁয়ের কাজ করে সংসার চালান। পূর্বের স্বামীর ঘরের একজন করে তার ২০ বছরের পুত্র ও ১৩ বছরের কন্যা (ধর্ষিতা) সন্তান রয়েছে। পূর্বের সন্তানসহ দ্বিতীয় স্বামীকে নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন তারা। তিনি (মা) বাড়িতে না থাকার সুযোগে বিগত ছয়মাস ধরে কিশোরী মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে আসছিল সৎ বাবা। সর্বশেষ ডুলাহাজারাস্থ ছেলের শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার সুযোগে গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে এগারটার দিকে মেয়েকে ফের জোরপূর্বক ধর্ষণ করে সৎ বাবা আবদুল আলীম।
এমআই