দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলার ১৬ বছর পূর্ণ হলো আজ। দিনাজপুরের ঘটনায় করা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি জেএমবির আঞ্চলিক কমান্ডার ও জেলার সাবেক শিবির নেতা আফজাল আবেদীন এখনও পলাতক রয়েছেন।
জানা গেছে, ২০১২ সালের ৩১ জুলাই তৎকালীন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-৩ আদালতের বিচারক গ্রেপ্তারকৃত ৭ আসামিকে খালাস দেন এবং পালিয়ে থাকা আসামি আফজাল আবেদীনকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট বেলা সোয়া ১১টায় দিনাজপুর জেলার কাচারি এলাকাসহ ১০টি স্থানে ১২টি বোমা বিস্ফোরণ এবং একটি বোমা অবিস্ফোরিত অবস্থায় পুলিশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় তৎকালীন কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুস সালাম বাদী হয়ে জেএমবি সদস্যদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলাটি দায়ের করেন।
আদালতের রায়ে বলা হয়, পলাতক আসামি গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে তার সাজা কার্যকর শুরু হবে। কিন্তু অদ্যাবধি ওই পলাতক আসামি গ্রেপ্তার হননি। ওই মামলাটির বিচার চলাকালে ৬১ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪৬ জন সাক্ষীর স্বাক্ষর গ্রহণ করেন আদালত।
মামলার সর্বশেষ তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন দিনাজপুর সদর সার্কেল সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান ওই খালাসপ্রাপ্ত ৭ জেএমবি সদস্য এবং পালিয়ে থাকা আফজাল আবেদীনসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র পেশ করেছিলেন।
মামলার পরিচালনার দায়িত্বে থাকা তৎকালীন অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট হাসনে ইমাম নয়ন জানান, মামলার ৭ আসামিকে খালাস দেয়ায় তাদের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করতে যাবতীয় কাগজপত্র তৎকালীন অ্যাটর্নি জেনারেল দপ্তরের পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু আপিল হয়েছে কিনা তিনি বলতে পারেন না।
দিনাজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে তৎকালীন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট হামিদুল ইসলাম জানান, তিনি দায়িত্ব থাকাকালে এই চাঞ্চল্যকর মামলাটির বিচারকার্য সম্পন্ন হয়েছিল। ওই মামলায় পুলিশ তদন্ত করে ৮ জন আসামির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে অভিযোগপত্র পেশ করেছিলেন। ওই সময়ে পুলিশ অভিযোগপত্রের তালিকাভুক্ত আসামি আমিনুল ইসলাম বিজি (৪০), আবু রায়হান ওরফে রেহান (৩২), আবু রাজিন মো. আব্দুল মতিন (৪২), আব্দুর রশিদ বিন মকবুল (৩০), তোজাম্মেল হক তোজা (৩৫), রাজু আহম্মেদ (২৭) ও নজরুল ইসলাম (২৮) নামে ৭ জনকে গ্রেপ্তার করে।
তিনি আরও জানান, মামলার আরেক আসামি জেলা ছাত্র শিবিরের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহরের ক্ষেত্রিপাড়া মহল্লার জয়নাল আবেদীনের ছেলে আফজাল আবেদীন (৩৫) পলাতক ছিলেন। তার অনুপস্থিতিতেই আদালত রায় ঘোষণা করেন।
জিএম
