১৭ বছর আগে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার লালনগরে সাবিনা (১৩) নামের এক মেয়েকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে আসামি শুকুর আলীর মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে অপর তিনজনকে যাবজ্জীবন দণ্ড দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
বুধবার (১৮ আগস্ট) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ এ রায় দেন। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত বাকি আসামিরা হলেন- নুরুদ্দিন সেন্টু, আজানুর রহমান ও মামুন হোসেন। তাদের কনডেম সেল থেকে স্বাভাবিক সেলে স্থানান্তর করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আদালতে আসামি শুকুর আলীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান। আসামি সেন্টুর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী রাগীব রউফ চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ।
রায়ের পর আইনজীবী রাগীব রউফ চৌধুরী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, এ মামলায় আপিল বিভাগ এক আসামির সাজা মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন। এ ছাড়া বাকি তিন আসামির সাজা কমিয়ে মৃত্যুদণ্ড থেকে যাবজ্জীবন দিয়েছেন। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
২০০৪ সালের ২৫ মার্চ রাতে দৌলতপুর উপজেলার লালনগর গ্রামের আব্দুল মালেক ঝনুর মেয়ে সাবিনা (১৩) প্রতিবেশীর বাড়িতে টেলিভিশন দেখে বাড়ি ফেরার পথে আসামিরা তাকে অপহরণ করে। এরপর লালনগর ধরমগাড়ি মাঠের একটি তামাক ক্ষেতে নিয়ে তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে তারা।
এ ঘটনায় পরের দিন সাবিনার বাবা আব্দুল মালেক ঝনু বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামি করে দৌলতপুর থানায় মামলা করেন।
এ মামলার বিচার শেষে কুষ্টিয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আকবর হোসেন ২০০৯ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় দেয়।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ আসামি হলেন কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার লালনগর গ্রামের খয়ের আলীর ছেলে শুকুর আলী, আব্দুল গনির ছেলে কামু ওরফে কামরুল, পিজাব উদ্দিনের ছেলে নুরুদ্দিন সেন্টু, আবু তালেবের ছেলে আজানুর রহমান ও সিরাজুল প্রামাণিকের ছেলে মামুন হোসেন।
এমআই/পি