রাজবাড়ীতে সাত বছর ধরে খাঁচায় বন্দি শারীরিক প্রতিবন্ধী শিশু শিখা। কামড় বা নখের খামচি দিয়ে পরিবারের সদস্যদের আহত করে বলেই শিশুটিকে খাঁচায় রাখা হয়। সুস্থ হওয়ার জন্য দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসার প্রয়োজন হলেও দরিদ্র বাবার পক্ষে তা সম্ভব হচ্ছে না। তবে শিশুটি’র চিকিৎসায় সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে ইন্সপিরেশন ওয়েলফেয়ার সোসাইটি।
মা-বাবা’র চোখের সামনেই আদরের মেয়েটি খাঁচায় বন্দি। মন না মানলেও বাধ্য হয়ে সন্তানকে খাঁচায় আটকে রাখেন তারা। ১০ বছর বয়সী মেয়েটির নাম শিখা। এ বয়সের সাত বছরই কাটছে খাঁচায়। মুক্ত পরিবেশে হাতের কাছে কাউকে পেলেই খামচি বা কামড় বসায়। যার কারণে বাধ্য হয়ে খাঁচায় রাখা হয় শিশুটিকে।
রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার কাউননাইল ঋষিপাড়ার মদন কুমারের মেয়ে শিখা। একসময় বাঁশ-বেতের জিনিসপত্র তৈরি করলেও এখন সেলুনে কাজ করেন মদন কুমার। তার সামান্য আয়ের ওপর নির্ভর ছয়জনের সংসার। শিখার বয়স যখন এক বছর তখনই শারীরিক সমস্যার বিষয়টি দেখা দেয়। ভারতসহ বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা করানো হলেও অবস্থার উন্নতি হয়নি। দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসা করাতে সামর্থ্য নেই পরিবারটির।
স্থানীয়রা জানান, শিশুটিকে নিয়ে মা-বাবার দুঃখের শেষ নেই। তাই পরিবারটির পাশে দাঁড়াতে সরকারসহ বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।
ইন্সপিরেশন ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দা মুনিরা ইসলাম জানান, পরিবারটিকে আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি শিখার উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। সবার সহযোগিতায় উন্নত চিকিৎসা পেলে হয়তো সুস্থ হয়ে উঠবে শিখা।
জিএম