অবশেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে জমি ও ঘর পাচ্ছেন বরিশালে পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ আসপিয়া ইসলাম। স্থায়ী ঠিকানা নিশ্চিত হলে তার চাকরি পেতে আর বাধা থাকছে না।
এরআগে মেধা তালিকায় পঞ্চম হয়েও নিয়োগের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বাদ পড়েন আসপিয়া। বরিশালে নিজেদের একখণ্ড জমি না থাকায়, তাকে বাদ দেওয়া হয়। ডিআইজি’র কাছে গিয়েও নিরাশ হন তিনি। বিষয়টি সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে সমালোচনার জন্ম দেয়।
গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুরছে আসপিয়ার ছবি। বরিশাল ডিআইজি কার্যালয়ের মূল ফটকে বসে থাকে অসহায় মেয়েটি। পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষায়, মেধা তালিকায় পঞ্চম। এরপরও নিয়োগ হয়নি। ভূমিহীন পরিচয় তার নিয়োগে বাধা।
কনস্টেবল পদে বরিশাল জেলায় গত ১০ সেপ্টেম্বর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সদর দপ্তর। শারীরিক, লিখিত, মৌখিক ও স্বাস্থ্য পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন আসপিয়া। চূড়ান্ত নিয়োগের আগে পুলিশ ভেরিফিকেশনে বাদ পড়েন তিনি। কারণ হিসেবে বলা হয়, বরিশালের স্থায়ী বাসিন্দা নন। বাবা হারা মেয়েটির পরিবার অন্যের জমিতে বসবাস করে।
বিষয়টি নজরে আসলে আসপিয়াকে সরকারি জমিতে ঘর নির্মাণ এবং চাকরির ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা পেয়ে কাজ শুরু করেছে বরিশাল জেলা প্রশাসন। হিজলা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে খাস জমি ঘুরে দেখে বড়জালিয়া ইউনিয়নে কয়েক শতাংশ জমি প্রাথমিকভাবে নির্ধারণ করা হয়। চূড়ান্ত হলে সেখানে ঘর নির্মাণ করা হবে।
প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা পেয়ে খুশি আসপিয়া। একইসঙ্গে ভূমিহীনরা চাকরি পাবেন না এমন বিধি সংশোধনের দাবি জানান সচেতন মহল।
দ্রুত জমি ও ঘর পেলে পুলিশে চাকরি নিয়ে শঙ্কার অবসান ঘটবে। স্বাবলম্বী হবে দরিদ্র পরিবারটি। এমন প্রত্যাশা সবার।
এমআই/এসকে