ঢাকারোববার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২

বিভিন্ন জেলায় পালিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি মাসুদের

বরিশাল প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

মঙ্গলবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২১ , ১০:৪৬ এএম


loading/img
মো. মাসুদ

দেশের সাত জেলায় পালিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি ঢাকা-বরিশাল নৌরুটের বিলাসবহুল কুয়াকাটা-২ লঞ্চের লস্কর কেবিনে তরুণী হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার মাসুদের (১৯)। রোববার রাতে র‍্যাবের একটি দল কক্সবাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।

বিজ্ঞাপন

গতকাল সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে র‍্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সহকারি পরিচালক এএসপি আ ন ম খান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। নিহত শারমিন আক্তার (২৭) ঢাকার কুনিপাড়া এলাকার এনায়েত হোসেনের মেয়ে।

সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাব জানায়, গ্রেপ্তার মো. মাসুদের সঙ্গে ২০১৯ সালে শারমিনের মোবাইল ফোনে প্রেম হয়। পরে তারা দৈহিক সম্পর্কে জড়ান। এরপর শারমিন বিয়ের জন্য চাপ দিলে মাসুদ অস্বীকৃতি জানায়। ফলে শারমিন মাসুদের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। সেই মামলা থেকে রক্ষা পেতে ২০১৯ সালে শারমিনকে ৫ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে করেন।

বিজ্ঞাপন

বিয়ের পর মাসুদ বিভিন্ন নারীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং শারমিনকে এড়িয়ে চলতে থাকে। মাসুদ সম্পর্ক ছিন্ন করতে চাইলে শারমিন তার কাছে দেনমোহরের ৫ লাখ টাকা চায়। তাই শারমিনকে হত্যার পরিকল্পনা করে মাসুদ।

এরই মধ্যে শারমিনের কাশি হলে হত্যার উদ্দেশে মাসুদ ঢাকা থেকে কাশের ওষুধ, বিষ ও ঘুমের ওষুধ কেনেন। ড্রাইভিং লাইসেন্স করার কথা বলে পরিকল্পনা মোতাবেক ঢাকা থেকে কুয়াকাটা-২ লঞ্চে বরিশাল রওনা দেন। নির্বিঘ্নে খুন করতে লঞ্চের লস্কর কেবিন ভাড়া করেন মাসুদ।

লঞ্চে বসে রাত ১২টার দিকে শারমিনের কাশি উঠলে মাসুদ তাকে বিষমিশ্রিত কাশের ওষুধ খেতে দেন। ওষুধ খেয়ে অসুস্থবোধ করলে শারমিনকে বাকি বিষও জোর করে খাইয়ে দেন মাসুদ। তারপর তিনি কেবিনের দরজা বন্ধ করে বাইরে এসে লঞ্চের রেস্টুরেন্টে ভাত খান। ভাত খেয়ে ফের কেবিনের সামনে গিয়ে বিষমিশ্রিত কাশির ওষুধের বোতল পড়ে থাকতে দেখে তা নদীতে ফেলে দেন।

বিজ্ঞাপন

কেবিনে প্রবেশ করে শারমিনকে তখনও জীবিত দেখতে পেয়ে ব্যাগ থেকে শার্ট বের করে গলায় ফাঁস দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করেন তিনি। লঞ্চ থামলে দ্রুত নেমে গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠি চলে যান অভিযুক্ত।

এমআই/টিআই

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |