ফেনীর সোনাগাজীর চরছান্দিয়া ইউনিয়নের মধ্যম চরছান্দিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মোবাইল নিয়ে প্রবেশ করায় বিভিন্ন প্রার্থীর ১৩ জন এজেন্টকে আটক করেছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মাহমুদ ভূঞা।
রোববার (২৬ ডিসেম্বর) নির্বাচন চলাকালীন এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ফেনীর সোনাগাজী ও দাগনভূঞায় ১৫টি ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ চলছে। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। নির্বাচনী এলাকায় নিরাপত্তা বলয় সৃষ্টিতে র্যাব, বিজিবি, পুলিশ ও বিপুল পরিমাণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন ও টহলে রয়েছে। এ ছাড়াও ভোটের আগের রাত থেকে ফলাফল ঘোষণার আগ পর্যন্ত তাৎক্ষণিক আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য নির্বাচনী এলাকায় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ রয়েছেন।
নির্বাচনে সোনাগাজীর ৯টি ইউনিয়নে সংরক্ষিত সদস্য পদে ৯৩ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ৪২১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ২টি ইউপিতে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বাকি ৭টিতে ২৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ উপজেলায় ৯১টি কেন্দ্রে ৫৩৯টি বুথে ২ লাখ ৬ হাজার ৪২ জন ভোটার রয়েছেন।
একইভাবে দাগনভূঞা উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে ২৮০ জন সাধারণ সদস্য ও ৪১ জন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৫টি ইউপিতে একক প্রার্থী থাকায় চেয়ারম্যান পদে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে। বাকি জায়লস্কর ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ উপজেলায় ৬৩টি কেন্দ্রে ১ লাখ ৫০ হাজার ১৪১ জন ভোটার রয়েছেন। এদিকে দাগনভূঞার জায়লস্কর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী রফিকুল ইসলাম আনারস প্রতিকের, তিনি বিভিন্ন অনিয়ম কারচুপির অভিযোগে নির্বাচন বয়কট করেন।
জিএম/এসকে