• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১
logo

সিট বণ্টনে ছাত্রলীগ নেতার হস্তক্ষেপ, জানে না হল প্রশাসন

কুবি প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ০৩ জানুয়ারি ২০২২, ১৬:৫০
সিট বন্টনে ছাত্রলীগ নেতার হস্তক্ষেপ, জানে না হল প্রশাসন
ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল

নিজের ইচ্ছানুযায়ী সিট বণ্টন, এক আবাসিক শিক্ষার্থীর সিটে অন্য আরেক শিক্ষার্থীকে উঠিয়ে দেওয়া, শিক্ষার্থীকে হল থেকে বের করে দেওয়াসহ নানা ধরনের অভিযোগ উঠেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রাফিউল আলম দীপ্তের বিরুদ্ধে।

হলসূত্রে জানা গেছে, গত ১ জানুয়ারি (শনিবার) রাতে কয়েকজন নেতা-কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে হল সভাপতি দীপ্ত নিজ ইচ্ছামতো হলের শিক্ষার্থীদের সিট বণ্টন করেন। এ সময় তিনি বিভিন্ন আবাসিক শিক্ষার্থীর সিটে অন্য শিক্ষার্থীকে উঠিয়ে দিলে বিভ্রান্তি ও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়।

দত্ত হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মাহফুজুর রহমান আরটিভি নিউজকে বলেন, আমি বেতন দিয়ে হলে থাকি। আমি এখন একটা দরকারে ঢাকা আসছি। আমাকে না জানিয়ে আমার সিটে অন্য একজনকে হুট করে কীভাবে উঠিয়ে দেয় আমি বুঝি না। হল প্রভোস্ট আরও শক্ত হলে, এই সুযোগ পেতো না। আমি এর বিচার চাই।

হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রাফিউল আলম দিপ্ত আরটিভি নিউজকে বলেন, গণরুমে ছেলেরা ছিল। তাদেরকে আমি সিট দিয়ে দিয়েছি। 'সিট বণ্টনের অধিকার আপনার আছে কি না'- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, আমরা হলের প্রভোস্ট ও হাউজ টিউটরদের সাথে কথা বলে সিট বণ্টন করেছি।

তবে প্রভোস্ট ড. মোহাম্মদ জুলহাস মিয়া বলছেন, তাকে জানিয়ে বণ্টন করা হয়নি।

অপরদিকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ বলেন, এই বিষয় আমি কিছুই জানি না। হলের সিট বণ্টন এটা তো হল প্রভোস্টের কাজ। ছাত্রলীগ সিট বণ্টন করবে কেন! হলের আবাসিক শিক্ষার্থী হিসেবে হল প্রশাসনের সাথে কথা বলে সমন্বয় করে সহযোগিতা করতে পারে।

সিনিয়র শিক্ষার্থী হল ছেড়ে দেওয়ার আগেই জুনিয়র শিক্ষার্থীদের উঠিয়ে দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আরটিভি নিউজকে আরও বলেন, একজন রুমের সিটে থাকা অবস্থায় যদি আরেক জনকে সিটে উঠিয়ে দেওয়া হয় তাহলে এটা অবশ্যই বেআইনি। যদি হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি এই ধরনের কিছু করে থাকে খোঁজখবর নিয়ে তাকে অবশ্যই এর জন্য সাংগঠনিক জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে।

এ ছাড়াও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ নিজেই দত্ত হলের ৩০০১ নম্বর রুম দীর্ঘ ৬ বছরের অধিক সময় ধরে দখল করে একাই থাকছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিভিন্ন সময় সাংগঠনিক কাজে আমার রুমটা ব্যবহার করা হয়।

হল প্রভোস্ট ড. মোহাম্মদ জুলহাস মিয়া বলেন, সিট বণ্টনের ব্যাপারে আমি কিছু জানি না। আমাকে জানিয়ে বণ্টন করা হয়নি। হলে গিয়ে এই বিষয়গুলো খোঁজ নেব।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী আরটিভি নিউজকে বলেন, হলের প্রভোস্টের কাছ থেকে শুনে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় আমি নেব।

এমআই/এসকে

মন্তব্য করুন

Radhuni
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
প্রধান উপদেষ্টার সহকারী প্রেস সচিব হলেন সুচিস্মিতা তিথি ও নাইম আলী
সাবেক ছাত্রলীগ নেতা হত্যা, জাবির ৮ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার
পুকুর সেচে উদ্ধার হলো অস্ত্র 
ঢাবিতে যুবককে পিটিয়ে হত্যা, ছাত্রলীগ নেতাসহ আটক ৪