ঢাকাশনিবার, ০৫ এপ্রিল ২০২৫, ২২ চৈত্র ১৪৩১

বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বোনের বাড়িতে গৃহবধূ

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

রোববার, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ , ০৫:৩৮ পিএম


loading/img
প্রতীকী ছবি

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার সুতাপাড়া গ্রামে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বোনের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন এক গৃহবধূ। 

বিজ্ঞাপন

রোববার (৬ ফেব্রুয়াারি) বিকেলে করিমগঞ্জ থানার ইনচার্জ মো. আনোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত ২ ফেব্রুয়ারি থেকে ওই গ্রামে তিনি অবস্থান করছেন। তবে এ ঘটনায় ওই নারীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন প্রেমিকের বোন জামাই।

জানা গেছে, প্রায় তিনমাস আগে উপজেলার সুতাপাড়া গ্রামে সোহরাব হোসেনের ছেলে সজিব মিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয় ওই গৃহবধূর। তবে প্রেমের বিয়ে হওয়ায় সজিবের পরিবার এ সম্পর্ক ভালোভাবে নেয়নি। এদিকে বিয়ের কিছুদিন পরই গৃহবধূ বাবার বাড়ি চলে যান। পরে সজিবও শ্রমিকের কাজ করতে চলে যান সিলেটে। এ সময়ের মধ্যে সজিবের ফুপাতো ভাই কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার পাটধা গাবতলী গ্রামের মৃত মফিজ মিয়ার ছেলে মামুনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন ওই গৃহবধূ।

বিজ্ঞাপন

এদিকে বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিয়ের দাবিতে প্রেমিক মামুনের বাড়িতে চলে যান গৃহবধূ। তবে এর আগেই বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় প্রেমিক মামুন। একই দিন আত্মীয়রা ওই গৃহবধূকে গ্রামে ফিরিয়ে আনলে তিনি প্রেমিক মামুনের ভগ্নিপতি মো. হারিছ মিয়ার বাড়িতে অবস্থান নেন। প্রায় ৫ দিন ধরে সেখানেই আছেন তিনি।

সজিবের মা (সংরক্ষিত) নারী মেম্বার তাসলিমা বলেন, আমার ছেলে সজিবের সঙ্গে প্রায় ৩ মাস আগে ওই মেয়ের বিয়ে হয়। সপ্তাহখানেক আমাদের বাড়িতে থাকার পর বাবার বাড়ি চলে যায়। সেখান থেকে মামুনের বাড়িতে ও পরে মামুনের ভগ্নিপতির বাড়ি যায়। বর্তমানে সেখানেই আছে। আমরা অনেক চেষ্টা করেও তাকে ফেরাতে পারিনি। সে বলেছে মামুনকেই বিয়ে করবে।

এ ঘটনায় মামুনের ভগ্নিপতি মো. হারেছ মিয়া বাদী হয়ে শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) করিমগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলায় ওই গৃহবধূ ও তার বাবা-মাসহ চারজনকে আসামি করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

ওই গৃহবধূ বলেন, মামুনের সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক আছে। সে আমাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তাকেই বিয়ে করব। এখান থেকে কিছুতেই যাব না। তিনমাস আগে সজিবকে বিয়ে করেছেন। তাহলে ওই বিয়ের কী হবে, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, স্বামীকে তালাক দিয়ে মামুনকে বিয়ে করব।

মামুনের বোন হোসনা বেগম বলেন, ভাইয়ের সঙ্গে ওই মেয়ের সম্পর্কের বিষয়ে জানতাম না। তার বাবা-মা তাকে এখানে রেখে গেছেন। তারা নানাভাবে আমাদের হুমকি দিচ্ছেন। আমাকে মারধরও করেছেন। আমি ও আমার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। পুলিশ ঘটনাস্থলে এলেও কোনো সুরাহা না করে চলে গেছে।

করিমগঞ্জ থানার ইনচার্জ মো. আনোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আরটিভি নিউজকে বলেন, এ ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।ভুক্তভোগী থানায় অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |