ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলায় প্রথমে প্রেম, পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক কিশোরীকে (১৫) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবু সালাম মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় অভিযুক্ত শিখর (২০) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।
অভিযুক্ত ব্যক্তি কেরানীগঞ্জ মডেল থানার রোহিতপুর ইউনিয়নের লাখিরচর গ্রামের শুকুর মিয়ার ছেলে শিখর (২০)।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, শিখর দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের ফাঁদে ফেলে, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে ধর্ষণ করে। ভুক্তভোগী ওই কিশোরী একই গ্রামের।
এদিকে গত সোমবার রাত ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে বাদীর বসতবাড়ির একটি ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে মেয়ের স্বজনরা স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে ছেলের পরিবারকে বিষয়টি জানান। কিন্তু ছেলের পরিবার বিষয়টিতে কর্ণপাত না করে টালবাহানা করতে থাকায় ভুক্তভোগী মেয়ের মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবু সালাম মিয়া জানান, এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। আমরা আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি। ভুক্তভোগীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।