সাত বছর ধরে শেকলবন্দি হয়ে দুর্বিসহ জীবন কাটছে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের মানসিক প্রতিবন্ধী ইমাম হোসেনের। অর্থের অভাবে তার চিকিৎসা করানো সম্ভব হচ্ছে না। প্রতিবন্ধী এ যুবকের উন্নত চিকিৎসায় উদ্যোগ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন ও ইন্সপিরেশন ওয়েলফেয়ার সোসাইটি।
মায়ের চোখের সামনেই শেকলে বাঁধা আদরের সন্তান। মন না মানলেও এভাবে সাত বছর ধরে সন্তানকে শেকলবন্দি করে রাখছেন মা রহিমা খাতুন। চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার অলিনগর গ্রামের রহিমা খাতুনের তিন ছেলে ও এক মেয়ে। একসময় বাড়বকুণ্ডের একটি জুট মিলে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন ইমাম। তার উপার্জনের ওপর নির্ভর ছিল পরিবারটি। হঠাৎ একদিন তার আচার-আচরণে পরিবর্তন দেখা যায়। কিছুদিনের মধ্যে হারিয়ে ফেলেন মানসিক ভারসাম্য। নানান জায়গায় চিকিৎসা করিয়েও কোন লাভ হয়নি। সে থেকে শেকলবন্দি ইমাম।
ইমাম হোসেনের রহিমা আরটিভি নিউজকে বলেন, অর্থের অভাবে ইমামের দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা করানো সম্ভব হচ্ছে না। জনপ্রতিনিধিদের কাছে বারবার ধরনা দিয়েও মিলেনি প্রতিবন্ধী ভাতা কার্ড।
তিনি আরও বলেন, টাকার অভাবে ছেলের চিকিৎসা করাতে পারেনি পরিবার। চোখের সামনে চিকিৎসার অভাবে এইভাবে ছেলের করুণ দৃশ্য সহ্য করাটা কঠিন। ছেলের চিকিৎসার খরচ জোগাড় করতে বৃদ্ধা মা এই দিক সেদিক ছুটে বেড়ান।
সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহাদাত হোসেন বলেন, শেকলবন্দি ইমাম হোসেনকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। সাত বছর ধরে শেকলবন্দি অবস্থায় আছে এই তথ্যটি এর আগে কেউ আমাদেরকে বলেনি।
চোখের সামনে চিকিৎসার অভাবে, ছেলের এমন করুন দশা সহ্য হয়না মায়ের। তার চাওয়া বিত্তবানের সহায়তায় সুস্থ হয়ে উঠবেন আদরের সন্তান।