যশোর শিশু হাসপাতাল থেকে ৮ দিন বয়সী এক শিশু চুরির ঘটনা ঘটেছে।
রোববার (৬ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে শিশুটির স্বজন, নার্স, স্টাফ ও নিরাপত্তা প্রহরীকে ফাঁকি দিয়ে এক নারী শিশুটিকে চুরি করে।
শিশুর মা আসমা খাতুন ও বাবা মেহেদী হাসান জনি ঝিনাইদহ জেলার কালিগঞ্জ পৌর শহরের বাসিন্দা।
ভুক্তভোগী শিশুটির মা বলেন, শনিবার (১৯ নভেম্বর) চিকিৎসার উদ্দেশে শিশুসন্তানকে নিয়ে কালিগঞ্জ থেকে মাহিন্দ্র করে (সিএনজি জাতীয় পরিবহন) যশোর হাসপাতালে আসার পথে অপরিচিত এক মহিলার সঙ্গে কথাবার্তা হয়। এ সময় ওই মহিলা তহমিনাকে চিকিৎসা সহায়তার কথা বলেন। এতে তহমিনা রাজি হননি। পরে আজ রোববার সকালে সেই অজ্ঞাতনামা নারী ওয়ার্ডে এসে তহমিনাকে জানান, হাসপাতালের নিচে মাইক্রোবাসে স্যার বসে আছেন, আপনাদের টাকা দেবেন এ জন্য ছবি তুলতে হবে।
এ সময় শিশুটির নানি ফিরোজা শিশুকে নিয়ে ওই নারীর সঙ্গে নিচে যান। পরে ওই নারী শিশুসহ নানিকে নিয়ে শহরের কুইন্স হাসপাতালের তিন তলায় যায়। সেখানে নানিকে বসতে বলে নারী অন্য সিঁড়ি দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ কুইন্স হাসপাতাল থেকে ভিডিও ফুটেজ জব্দ করেছে। একই সঙ্গে হাসপাতালের খাবার বিতরণ কর্মচারী নুরুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
শিশুর বাবা মেহেদী হাসান বলেন, আজ রোববার সকালে হাসপাতালের চিকিৎসক রাউন্ড শেষে আমার ছেলেরে রিলিজ দেয়। ছেলে ও তার মাকে বাড়ি নেওয়ার জন্য ইজিবাইক আনতে গেছিলাম। নিচে ইজিবাইক দাঁড় করে এসে শুনি আমার ছেলেরে কে যেন চুরি করে নিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সৈয়দ নূর-ই-হামিম বলেন, শিশুটি চুরির সংবাদ শুনে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে যাই। দ্রুত আমরা পুলিশকে জানাই। আমাদের নিরাপত্তার কোনো ঘাটতি ছিল না। তবে বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
যশোর ডিবি পুলিশের ওসি রুপন কুমার সরকার জানান, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানানো মাত্র পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে। হাসপাতালের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। আশা করা যায়, দ্রুত শিশুটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হবে।