পুলিশি নির্যাতনে কারাগারে হাজতির মৃত্যুর অভিযোগ

লক্ষ্মীপুর জেলা কারাগারে মো. সায়েদ হোসেন নামে এক হাজতির মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১৬ মার্চ) বেলা ১১টায় লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে মারা যান তিনি। 
নিহতের পরিবারের অভিযোগ করেন, সম্প্রতি সাহেদকে আটকের পর ছেড়ে দিতে ২ লাখ টাকা দাবি করে পুলিশ। তা না দিলে মাদক মামলায় চালান (কারাগারে) দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন নিহতের বাবা। পরে  টাকা না পেয়ে বেদম মারধর করে নির্যাতন করে তাকে মাদকদ্রব্য (৩০ পিস ইয়াবা) দিয়ে চালান দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করা হয়। এতে অসুস্থ হয়ে সাহেদ মারা যান বলে অভিযোগ করেন স্বজনরা। নিহত সায়েদ পশ্চিম লক্ষ্মীপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে। পেশায় তিনি রাজমিস্ত্রি ছিলেন।
কারাগার সূত্র ও নিহতের স্বজনরা জানান, সম্প্রতি লক্ষ্মীপুরের রায়পুর থেকে মো. সাহেদ হোসেনসহ কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ। পরে সায়েদের পরিবারের কাছে দুই লাখ টাকা দাবি করে থানা পুলিশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা। টাকা পেলে ছেড়ে দেওয়া হবে, না হয় মাদক দিয়ে চালান করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন নিহতের পরিবার। 
৪৫ হাজার টাকা পর্যন্ত দিতে রাজি হলেও সমঝোতা না হওয়ায় সায়েদকে থানা হেফাজতে বেদম মারধর করা হয় বলে জানান নিহতের বাবা কাশেম। পরে প্রথমে রায়পুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবশেষে মাদক মামলায় (রায়পুর থানার মামলা নং ১২, তাং-০৬-০৩ ২০২২ খ্রি:, জি আর মামলা নং ৫৬/২০২২) কারাগারে প্রেরণ করে পুলিশ। এদিন হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে সায়েদ, পরে তাকে হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ দিকে লক্ষ্মীপুর জেলা কারাগারের জেলার মো. সাখাওয়াত হোসেন জানান, হঠাৎ অসুস্থ হয়ে অচেতন হয়ে পড়লে হাজতিকে দ্রুত হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।