ঈদ ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে যানবাহনের চাপ বাড়ছে সিরাজগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কে। উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের ২২ জেলার মানুষের সড়ক পথে চলাচলের এই পথে ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে কাল খুলে দেওয়া হবে নলকা সেতুর এক লেন। এ ছাড়াও মহাসড়কজুড়ে সৃষ্ট অসংখ্য খানাখন্দ সংস্কার করা হচ্ছে। রোববার (২৪ এপ্রিল) ভোর থেকে মহাসড়কজুড়ে এ চিত্র দেখা যায়।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানা ও সড়ক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে ঢাকার সঙ্গে উত্তরের ১৬ ও দক্ষিণের ৬ জেলায় চলাচলকারী যানবাহনের সেতু গোলচত্বর থেকে হাটিকুমরুল গোলচত্বর পর্যন্ত ২২ কিলোমিটার মহাসড়ক ব্যবহারের বিকল্প নেই। প্রতিবছরেই ঈদ মৌসুমে এই মহাসড়কে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ সৃষ্টি হওয়ায় যানজটে নাকাল হতে হয় যাত্রীদের। এ বছর মহাসড়কজুড়ে চলা নির্মাণকাজ ও অসংখ্য খানাখন্দ যানজটের আতঙ্ক বেড়েছে।
সড়ক বিভাগের পক্ষ থেকে ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে মহাসড়কে সৃষ্ট খানাখন্দ সংস্কার, কড্ডা, পাচলিয়াসহ বেশ কয়েকটি পয়েন্টে অস্থায়ীভাবে রাস্তা প্রশস্তকরণ ও কাল সোমবার (২৫ এপ্রিল) ফুলঝোড় নদীর ওপর নির্মিত নলকা সেতুর ঢাকা-উত্তরবঙ্গগামী লেন চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নতুন নলকা সেতুর এক লেন দিয়ে উত্তরাঞ্চলগামী যানবাহন চলাচল করবে। আর ঢাকামুখী যানবাহন চলাচল করবে পুরাতন নলকা সেতু দিয়ে। এতে যানজটযুক্ত এই সেতু এলাকা যানজটমুক্ত হবে।
সিরাজগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী দিদারুল আলম তরফদার আরটিভি নিউজকে বলেন, নলকা সেতুর এক লেন চালু করাসহ মহাসড়কের খানাখন্দ সংস্কারের অধিকাংশ কাজ শেষ হয়েছে। আগামী বুধবার (২৭ এপ্রিল) থেকে মহাসড়কে নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখা হবে।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ লুৎফর রহমান আরটিভি নিউজকে বলেন, ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম মহাসড়কে প্রায় ৪৫০ জন পুলিশ মোতায়েন থাকবে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় ১৫০ জন করে তিনভাগে বিভক্ত হয়ে পালাক্রমে দায়িত্ব পালন করবে তারা। যানবাহনের যে চাপ রয়েছে, লেন মেনে গাড়ি চললে এতে যানজট সৃষ্টির আশঙ্কা নেই।