গত দুই সপ্তাহ ধরে তিস্তার পানি থেমে থেমে বৃদ্ধি পেয়ে নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে অন্তত ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
সোমবার (২০ জুন) তিস্তার পানি কিছুটা কমে গিয়ে বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জানা গেছে, গত দুই সপ্তাহ ধরে তিস্তা নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষ চরম আতঙ্কে রয়েছেন। বিশেষ করে পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী ও সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুণ্ডা ইউনিয়নের তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের ২৫টি দ্বীপ চরের অন্তত ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েন।
স্থানীয়রা বলেন, ‘এখন একটাই দাবি আর ত্রাণ নয়, চাই তিস্তার বাঁধ।’
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফা-উদ-দৌলা জানান, উজানের ঢল ও টানা বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তার পানি কখনো বিপৎসীমার ওপরে আবার কখনও-বা বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে আজ সোমবার তিস্তার পানি প্রবাহ কিছুটা কমে গিয়ে বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।