প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে প্রেম, রাতে দেখা করতে গিয়ে প্রেমিকের মৃত্যু
সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার কেরালকাতা ইউনিয়নে প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে পালাতে গিয়ে প্রেমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।
বুুধবার (২৯ জুন) সকালে কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিরউদ্দীন মৃধা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে মঙ্গলবার (২৮ জুন) রাত ১টার দিকে ওই ইউনিয়নের কাজিরহাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তি হলেন, উপজেলার কুশোডাঙ্গা ইউনিয়নের গোয়ালচাতার গ্রামের মৃত ফকির আহম্মেদের ছেলে নিজাম উদ্দীন (৪৫)। তিনি কাজিরহাট বাজারের বিকাশের এজেন্ট।
আটককৃত ব্যক্তিরা হলেন, তহমিনা বেগম (৩৮), সুমন (২১), প্রতিবেশী আব্দুল মাজেদ (৫০) এবং মাজেদের ছেলে মোমিনুল ইসলাম (২০)।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘ দিন ধরে বিকাশের এজেন্ট নিজাম উদ্দীন ও দুবাই প্রবাসী আব্দুস সামাদের স্ত্রী তহমিনার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। মঙ্গলবার (২৮ জুন) রাতে বাড়িতে আটকের পর চড়-থাপ্পড় দিলে সে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় দৌঁড়াতে গিয়ে রাস্তায় পড়ে মারা যান তিনি।
নিহতের ছেলে গোলাম রসূল দাবি করেন, মঙ্গলবার (২৮ জুন) রাতে দোকান থেকে তার বাবা বাড়ি ফিরছিলেন। তার কাছে টাকা ছিল। টাকাগুলো কেড়ে নেওয়ার জন্য বাবাকে মারপিট করে হত্যা করা হয়েছে।
কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিরউদ্দীন মৃধা বলেন, কেরালকাতা ইউনিয়নের কাজিরহাট এলাকায় আব্দুস সামাদ একজন দুবাই প্রবাসী। তিনি প্রায় সময় বিকাশের মাধ্যমে তার স্ত্রী তহমিনা বেগমের কাছে টাকা পাঠাতেন। এক পর্যায়ের বিকাশের এজেন্ট নিজাম উদ্দীনের সঙ্গে তহমিনা বেগম প্রেমে জড়িয়ে পড়েন।
তিনি বলেন, আগে থেকে মোবাইলফোনে আলাপ করে মঙ্গলবার (২৮ জুন) রাতে প্রেমিকার বাড়িতে যায় নিজাম। এ সময় তহমিনার ছেলে সুমন তাকে দেখে ফেলে। এ সময় সে চোর চোর বলে চিৎকার দিলে নিজাম দৌঁড়ে পালাতে গিয়ে রাস্তায় অচেতন হয়ে পড়ে মারা যান।
তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার রাতেই মরদেহ থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পর জানা যাবে কীভাবে মারা গেছেন মিজান। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, স্ট্রোক করে মারা গেছেন তিনি। তবে এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কয়েকজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
মন্তব্য করুন