লোডশেডিংয়ে মানা হচ্ছে না সরকারি সিদ্ধান্ত
সরকারি ঘোষণা মতে এক ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের কথা থাকলেও মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সঞ্চালন লাইনে প্রতিদিন পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পল্লী বিদ্যুৎ ব্যবহারকারী গ্রাহকরা। তবে জাতীয় গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ বণ্টনে বৈষম্য থাকায় এই অবস্থা হয়েছে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পাঁচটি সাব-স্টেশনে বিদ্যুতের চাহিদা ৮০ এমভিএ। যার বিপরীতে বিদ্যুৎ মিলছে ৪০ থেকে ৫০ এমভিএ। ফলে বিদ্যুৎ সঞ্চালন এলাকায় ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা আবার কোনো কোনো সময় আরও বেশি সময় ধরে লোডশেডিংয়ের ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন গ্রাহকরা।
বর্তমানে আমন ধান রোপণের ভরা মৌসুম চলছে। অপরদিকে বৃষ্টির পানি না থাকায় ডোবা-নালায় সেচ দিয়ে পাট জাগ দিচ্ছেন কৃষকরা। বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক না থাকায় এই দুই কাজে চরম দুশ্চিন্তায় সময় পার করতে হচ্ছে তাদের।
এদিকে লোডশেডিংয়ের কবলে পড়েছে ক্ষুদ্র শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো। স’মিল, পোল্ট্রি খামার, গরুর খামার ও গরুর খাদ্য উৎপাদন কারখানাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এক কর্মকর্তা আরটিভি নিউজকে জানান, এক ঘণ্টা লোডশেডিং দেওয়ার কথা থাকলেও জাতীয় গ্রিড থেকে প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে না। বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত তাদের কিছুই করার নেই।
মন্তব্য করুন