রংপুরে তিন বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় মাহফুজুর রহমান (৩০) নামের এক যুবককে করাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। মাহফুজ স্থানীয় একটি মসজিদে ইমামতি করার পাশাপাশি মাদরাসায় শিক্ষকতা করতেন। শিশু ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর তিনি প্রায় আড়াই মাস আত্মগোপনে ছিলেন।
বুধবার (২৭ জুলাই) বিকেলে তাকে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (আমলি আদালত, মাহিগঞ্জ) তোলা হলে বিচারক মো. আল-মেহবুব জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে গত ২৫ জুলাই সোমবার খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার তবলছড়ি বাজার ডাকবাংলো হাফিজিয়া মাদরাসায় অভিযান চালিয়ে আত্মগোপনে থাকা মাহফুজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১৩। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি শিশু ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে র্যাব-১৩।
র্যাব-১৩-এর সহকারী পরিচালক মাহমুদ বশির আহমেদ জানান, রংপুর নগরীর মাহিগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা ইমাম মাহফুজুর রহমান। তার বিরুদ্ধে প্রতিবেশী পরিবারের তিন বছরের এক শিশুকে চকলেট খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় গত ৫ মে রাতে ধর্ষণের শিকার হওয়া শিশুটির বাবা বাদী হয়ে মাহিগঞ্জ থানায় মামলা করেন। এ ঘটনার পর থেকে আত্মগোপনে যায় মাহফুজুর রহমান।
তিনি আরও বলেন, গত ২৫ জুলাই বিকেলে র্যাব-১৩-এর বিশেষ দল চট্টগ্রাম র্যাবের সহযোগিতায় খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা তবলছড়ি বাজার ডাকবাংলো হাফিজিয়া মাদরাসা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মাহফুজুরকে গ্রেপ্তার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শিশু ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন মাহফুজুর রহমান। বুধবার তাকে আদালতে নেওয়া হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।