দুই সন্তানের জননীকে অস্ত্রের মুখে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার সাদ্দাম-মোস্তফা
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায় এক গৃহবধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
শনিবার (৩০ জুলাই) বিকেলে র্যাবের চান্দগাঁও কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব-৭-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এ ইউসুফ। এর আগে একই দিন ভোরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা হলেন, মো. সাদ্দাম হোসেন ও মো. জাহেদ মোস্তফা।
র্যাব সংবাদ সম্মেলনে জানান, ভুক্তভোগী গৃহবধূ চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ডের একটি ভাড়া বাসায় থাকেন। ২৩ থেকে ২৪ দিন আগে তার স্বামী পুলিশের হাতে আটক হয়ে জেলহাজতে আছেন। এ কারণে ভুক্তভোগী দুই সন্তানকে নিয়ে তার বাবার বাড়ি মুরাদপুরে চলে যান।
এদিকে গত ২৮ জুলাই ভুক্তভোগী গৃহবধূর ভাড়া বাসা থেকে প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার বিভিন্ন মালামাল নিয়ে যায় দুষ্কৃতকারীরা। পরে ছিনিয়ে নেওয়া মালামাল আনার জন্য তিনি তার ভাগনে ও ফুফাতো ভাইয়ের ছেলেকে নিয়ে একই দিন রাতে বাড়বকুন্ড ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন রাস্তায় পৌঁছালে তাদের মারধর করে দুষ্কৃতকারীরা। পরে ওই ইউনিয়নের মকবুল রহমান জুট মিল সংলগ্ন রেললাইনের একটি ঝুপড়ি ঘরে আটক রেখে ভুক্তভোগীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করে দুষ্কৃতকারীরা। এ সময় ভুক্তভোগীর ধর্ষণের ছবি তাদের মোবাইলে ধারণ করে। পরে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে পালিয়ে যায়।
র্যাব-৭-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এ ইউসুফ বলেন, এ ঘটনার পর ভুক্তভোগী গৃহবধূকে উদ্ধার করেন তার বড় ভাই। পরে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বোনের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন তিনি। ভুক্তভোগী বাদী হয়ে সীতাকুণ্ড থানায় চারজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা একজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
তিনি আরও বলেন, ভুক্তভোগী গৃহবধূর মামলা দায়েরের প্রায় ১৩ ঘণ্টার মধ্যে অভিযান পরিচালনা করে প্রধান আসামি মো. সাদ্দাম হোসেন ও তিন নম্বর আসামি মো. জাহেদ মোস্তফাকে আজ শনিবার ভোরে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে সাদ্দামের বিরুদ্ধে অস্ত্র, ডাকাতি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপকর্মের ছয়টি মামলা রয়েছে।
মন্তব্য করুন