ফেসবুক প্রেমের শুরু, শেষ হলো মৃত্যুতে
নাটোরের কলজেছাত্র মামুনকে বিয়ে করে সুখের সংসার গড়া খুবজীপুর ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক খায়রুন নাহারের সংসারের সমাপ্ত ঘটল। প্রায় ৮ মাস ২ দিনের মাথায় খাইরুন নাহার নামে সেই শিক্ষিকার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রোববার (১৪ আগস্ট) সকাল ৭টার দিকে শহরের বলারিপাড়া এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
-
আরও পুড়ন.. ছাত্রকে বিয়ে করা সেই শিক্ষিকার লাশ উদ্ধার
নিহত শিক্ষিকা মোছা. খাইরুন নাহার গুরুদাসপুর উপজেলার চাঁচকৈড় পৌর এলাকার মো. খয়ের উদ্দিনের মেয়ে। তিনি উপজেলার খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন।
জানা গেছে, গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোছা. খাইরুন নাহার। তার রাজশাহীর বাঘায় প্রথম বিয়ে হয়েছিল। পারিবারিক কলহে সংসার বেশি দিন টেকেনি তার। তবে ওই ঘরে একটি সন্তান রয়েছে। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ২০২১ সালের ২৪ জুন তাদের পরিচয় হয় মামুন হোসেনের সঙ্গে। এরপর থেকে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। একপর্যায়ে ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বরে বিবাহবন্ধনে আবন্ধ হন তারা।
ফেসবুকে বিয়ের বিষয়টি ভাইরাল হওয়ার পর সাংবাদিকদের সহকারী অধ্যাপক মোছা খাইরুন নাহার বলেন, প্রথম সংসার ভেঙে যাওয়ার পর মানসিকভাবে অনেক হতাশ ছিলাম। এ সময় আত্মহত্যা করারও সিদ্ধান্ত নেই। তবে সে সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পরিচয় হয় মামুনের সঙ্গে।
তিনি আরও বলেন, মামুন আমার খারাপ সময় পাশে থেকে উৎসাহ দিয়েছে। আমাকে নতুন করে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখিয়েছে। পরে আমরা দুজন বিয়ের সিদ্ধান্ত নেই। তবে বিয়ের পর মামুনের পরিবার মেনে নিয়েছে। কিন্তু আমার পরিবার এখনও মেনে নেয়নি।
নাটোরের পুলিশ সুপার (এসপি) লিটন কুমার সাহা বলেন, কলেজছাত্র মামুন হোসেনকে ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বরে বিয়ে করেন শিক্ষিকা খাইরুন নাহার। আজ রোববার সকালে ভাড়া বাসা থেকে ওই শিক্ষিকার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মন্তব্য করুন