রাজনৈতিক সভায় সরকারি অ্যাম্বুলেন্স, বিতর্কে সেই ইউপি চেয়ারম্যান

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : আরটিভি নিউজ

শুক্রবার, ১৯ আগস্ট ২০২২ , ১২:০৮ পিএম


রাজনৈতিক সভায় সরকারি অ্যাম্বুলেন্স, বিতর্কে সেই ইউপি চেয়ারম্যান

লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার চরকাদিরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ সরকারি অ্যাম্বুলেন্স ‘স্বপ্নযাত্রা’ রাজনৈতিক কাজে ব্যবহার করে বিতর্কিত করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, তিনি উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়েই অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার করেছেন। তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বলছেন তিনি কিছুই জানেন না। 

বিজ্ঞাপন

জেলা প্রশাসন বলছে অ্যাম্বুলেন্সটি শুধুমাত্র রোগীদের ব্যবহারের জন্য, কোনো রাজনৈতিক বা অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করা যাবে না। কিন্তু সরকারি নীতিমালা অমান্য করে ব্যক্তিগত এবং রাজনৈতিক কাজে চেয়ারম্যান অ্যাম্বুলেন্সটি ব্যবহার করেছেন। এর আগেও রাজনৈতিক কাজে তিনি অ্যাম্বুলেন্সে করে যাতায়াত করেন। এতে জনমনে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

চেয়ারম্যানের দাবি, স্বপ্নযাত্রা অ্যাম্বুলেন্স কেউ ভাড়ায় নেন না। এমনিতে পড়ে থাকে। কিন্তু চালককে বেতন দিতে হয়। এজন্যই ভাড়াই তিনি ব্যবহার করেছেন।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) রাতে রায়পুর উপজেলার উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের খাসের হাটের চমকা বাজার এলাকায় অ্যাম্বুলেন্সটি রাজনৈতিক সভায় নেওয়া হয়। সেখানে রায়পুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন মাস্টারের জামাতা মো. মুরাদের বাড়িতে ইসলামী আন্দোলনের সভা ছিল। সন্ধ্যা থেকে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত অ্যাম্বুলেন্সটি ওই বাড়িতে ছিল। 

বিষয়টি জানতে পেরে জেলা প্রশাসক আনোয়ার হোছাইন আকন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, রোগীদের সেবা দেওয়া ছাড়া কোনোভাবেই অন্য কাজে অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার করা যাবে না। চেয়ারম্যান রাজনৈতিক কাজে কেন ব্যবহার করেছেন, এনিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

চরকাদিরা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব প্রাণ গোবিন্দ দাস বলেন, অ্যাম্বুলেন্সটি ইউনিয়নের নির্দিষ্ট একটি জায়গায় থাকার কথা। চেয়ারম্যান এটা দিয়ে অন্য কোথাও গেছে কি না, সেটা আমার জানা নেই।

বিজ্ঞাপন

ইউপি চেয়ারম্যান খালেদ সাইফুল্লাহ বলেন, আমি ইউএনও এবং সহকারী কমিশনারের (ভূমি) অনুমতি নিয়েই ব্যবহার করেছি। অ্যাম্বুলেন্স কেউ ভাড়ায় নেন না। কিন্তু চালককে ভাড়া দিতে হয়। এজন্যই এটি আমি ভাড়ায় ব্যবহার করেছি। অন্য কোনো গাড়ি নিলেও আমাকে ভাড়া দিতে হতো।

 কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান বলেন, চেয়ারম্যানকে ডেকে বিষয়টি নিয়ে কথা বলা হবে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

প্রসঙ্গত, ইউনিয়নে উচ্চ শব্দে গান-বাজনা করলে ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা করার ঘোষণা দিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন চেয়ারম্যান খালেদ সাইফুল্লাহ। তখন ঘটনাটি সারাদেশে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়। মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা।

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন

Loading...


© All Rights Reserved 2016-2025 | RTV Online | It is illegal to use contents, pictures, and videos of this website without authority's permission