নকল বিড়ি ও ব্যান্ডরোল যুক্ত বিড়ি বন্ধসহ পাঁচ দফা দাবিতে মানববন্ধন ও ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে সিরাজগঞ্জ জেলা বিড়ি মালিক ও বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়ন। সোমবার (১০ অক্টোবর) বেলা ১১ টায় জেলা কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অফিসের সামনে এ কর্মসূচি পালন করে তারা। মানববন্ধন শেষে সিরাজগঞ্জ কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
এতে নকল বিড়ি ও নকল ব্যান্ডরোল যুক্ত বিড়ি বন্ধ, শুল্ক ফাঁকি দেয়া অবৈধ বিড়ি কারখানা বন্ধে কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন, বিড়ির উপর অর্পিত অগ্রিম ১০ শতাংশ আয়কর প্রত্যাহার, অনলাইনে লাইসেন্স দেয়া বিড়ি মালিকদের থেকে রাজস্ব আহরণে কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন ও শ্রমিকদের সপ্তাহে ছয় দিন কাজের ব্যবস্থা করার দাবি জানান বিড়ি মালিক ও শ্রমিকরা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দেশের অর্থনীতিতে বিড়ি শিল্পের অবদান অপরিসীম। প্রাচীন শ্রমঘন এই শিল্প থেকে বছরে বিপুল পরিমান রাজস্ব আহরিত হয়। তবে কতিপয় অসাধু বিড়ি ব্যবসায়ী বিড়ি শিল্প ধ্বংসের ষড়যন্ত্রে নকল ব্যান্ডরোল লাগিয়ে প্রতি প্যাকেট ১৮ টাকা মূল্যের বিড়ি ১০ থেকে ১২ টাকায় বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে। যেখানে প্রতিটি প্যাকেটে ৯ টাকা ০৯ পয়সা সরকারকে রাজস্ব দিতে হয়। দেশের উন্নয়ন,অগ্রগতি ও প্রকৃত বিড়ি মালিকদের স্বার্থে নকল বিড়ি বন্ধ এবং শুল্ক ফাঁকি দেয়া অবৈধ বিড়ি কারখানা বন্ধে কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে। একইসাথে তাদেরকে গ্রেফতার করে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
বক্তারা আরও বলেন, অনলাইনে লাইসেন্স দেয়া অস্তিত্বহীন বিড়ি কারখানা মালিকরা কিছু দুর্নীতিগ্রস্থ কাস্টমস কর্মকর্তার যোগসাজসে জাল ব্যান্ডরোল ব্যবহার করে থাকে। তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে। বিড়ি শিল্প দেশীয় শ্রমিকবান্ধব শিল্প। ফলে বিড়ির উপর অর্পিত অগ্রিম ১০ শতাংশ আয়কর প্রত্যাহার করতে হবে। এছাড়া বিড়ি কারখানাগুলোতে শ্রমিকদের সপ্তাহে ছয় দিন কাজের ব্যবস্থা করতে হবে।
বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সদস্য আনোয়ার হোসেনর সঞ্চলনায় মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন সিরাজগঞ্জ জেলা বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি হাজী আব্দুর রজ্জাক। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ফেডারেশনের সভাপতি এমকে বাঙ্গালী, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল গফুর প্রমূখ।