ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে খুলনায় গভীর রাত থেকে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে খুলনার কয়রা উপজেলার হরিণখোলা ও গাতিরঘেরী নামক স্থানে বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
সোমবার (২৪ অক্টোবর) সকালে সরেজমিনে এ দৃশ্য দেখা যায়। দুপুরে জোয়ারের আগে কাজ করতে না পারলে ফসল, ঘরবাড়ি সব নোনা পানিতে প্লাবিত হওয়ার শঙ্কায় রয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা। খুলনায় রোববার (২৩ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১২টা থেকে সেমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ৪৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানান, সোমবার সকাল ৬টায় ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের অবস্থান মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে ছিল। মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
খুলনা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ সিনিয়র আবহাওয়াবিদ মো. আমিরুল আজাদ বলেন, রোববার গভীর রাত থেকে ঝোড়ো হাওয়াসহ ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। তবে গভীর রাত থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত ৪৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
খুলনার কয়রা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম শফিকুল ইসলাম বলেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে কয়রার হরিণখোলা ও গাতিরঘেরীর বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের নিয়ে মেরামতের প্রস্তুতি চলছে। এ ছাড়া কয়রার হোগলা, দোশহালিয়া, মদিনাবাদ লঞ্চঘাট, ঘাটাখালী, গাববুনিয়া, আংটিহারা, ৪নং কয়রা সুতির গেট ও মঠবাড়ির পবনা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। পাশাপাশি সাইক্লোন শেল্টারগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে।