কক্সবাজারের টেকনাফ থানার আলোচিত টমটম চালক আবুল ফয়েজ হত্যা মামলার প্রধান আসামী খোকনসহ এজাহারনামীয় চারজনকে চট্টগ্রাম শহর থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৫ এর সদস্যরা।
কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সিনিয়র সহকারী পরিচালক (ল’ এন্ড মিডিয়া) মোঃ আবু সালাম চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, গত ৭ নভেম্বর দুপুরে সদর ইউনিয়নের নাজিরপাড়া এলাকার ফরিদ আলমের সঙ্গে একই এলাকার এজাহার মিয়ার ছেলে মাদক কারবারি খোকন এর বাগবিতণ্ডা হয়। ঘটনাস্থলেই উপস্থিত লোকজন বিষয়টির সমঝোতা করে দেন। ওইদিন বিকালে ফরিদ আলমের ছেলে আবুল ফয়েজ (২৯) তার টমটম গাড়ি নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে নাজিরপাড়া ফুটবল খেলার মাঠের কাছে এলে তার পথ আটকে দেয় খোকন, গুরা মিয়া, ইয়াবা কারবারি আফছার, হেলাল ও বেলালসহ বেশ কয়েকজন। তারপর সবাই মিলে মধ্যযুগীয় কায়দায় তাদের হাতে থাকা লাঠি, হাতুরি, লোহার হাম্বল, কিরিচ, কুড়াল এবং লোহার শাবল নিয়ে তাকে পিটিয়ে গুরুতম জখম করে ফেলে রেখে যায়। পরবর্তী সময়ে স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় ফয়েজকে টেকনাফ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যালে প্রেরণ করেন চিকিৎসক। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আবুল ফয়েজের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় টেকনাফ থানায় গত ১৪ নভেম্বর একটি মামলা হয়। মামলা নং-৩৯/১০০৩।ঘটনার পর থেকে আসামীরা গ্রেপ্তার এড়াতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপনে চলে যায়।
পরবর্তী সময়ে রোববার (২৭ নভেম্বর) র্যাব-১৫ এর সিপিসি-২, হোয়াইক্যং ক্যাম্প বিষয়টি অবগত হয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে সিএমপি, চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানাধীন রিয়াজউদ্দিন বাজার এলাকা থেকে চারজনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার হওয়ার চারজন আসামী হলেন, হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড নাজির পাড়া এলাকার মৃত এজাহার মিয়ার ছেলে ১নং আসামী নুরুল ইসলাম প্রকাশ খোকন (৩৪), একই এলাকার নুরুল আলমের ছেলে ৫নং আসামী মোঃ বেলাল (৩৫), ৬নং আসামী মৃত হাজী নজু মিয়ার ছেলে গুরা মিয়া (৫৯) এবং ৮নং আসামী নুর আলমের ছেলে কেফায়েত উল্লাহ (১৯) কে গ্রেপ্তার করা হয়। উল্লেখ্য যে, পূর্বেও তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
তিনি আরো জানান, গ্রেপ্তার হওয়া আসামীদের সংক্রান্তে পূর্বের হত্যা মামলা মোতাবেক পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।