কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে অবরোধ, ১০ কিলোমিটার যানজট
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক পরিবহন শ্রমিক নেতাকে মারধরের ঘটনায় কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে অবরোধ করা হয়েছে। প্রায় দেড় ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল। এর ফলে ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে ৯ টার দিকে শহরের ভাদুঘর পৌর বাস টার্মিনাল এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পরিবহন শ্রমিকরা জানান, ভাদুঘর বাস টার্মিনালে পৌরসভা কর্তৃপক্ষের দেওয়া কয়েকটি বাঁশের খুঁটি পরিবহন শ্রমিকরা তুলে ফেলেন। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে মঙ্গলবার রাত পৌনে ৯ টাকার দিকে পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল কুদ্দুস বাস টার্মিনালে গিয়ে জাকির নামে এক শ্রমিক নেতাকে থাপ্পড় মারেন। এ ঘটনায় শ্রমিকরা টার্মিনালের সামনে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে এলোপাতাড়ি বাস রেখে সড়ক অবরোধ করেন এবং পৌর নির্বাহী কর্মকর্তার অপসারণ চেয়ে বিক্ষােভ করতে থাকে। এতে মহাসড়কের সুলতানপুর থেকে পুনিয়াউট পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে বুধবার সকালে বৈঠকে বসে বিষয়টি মীমাংসার আশ্বাস দেন। এরপর শ্রমিকরা অবরোধ উঠিয়ে নিলে প্রায় দেড়ঘণ্টা পর রাত সাড়ে ১০ টায় মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এ বিষয়ে শ্রমিক নেতা মো. জাকির অভিযোগ করে বলেন, টার্মিনাল এলাকায় মেলা বসানোয় বাস রাখতে সমস্যা হচ্ছে। পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল কুদ্দুসকে সমস্যার কথা জানালে, তিনি উচ্চবাচ্য করে টার্মিনালের বাইরে বাস রাখতে বলেন। প্রতিবাদ করায় তিনি আমাকে কয়েকটি থাপ্পড় মারেন। এ নিয়ে শ্রমিকরা ক্ষুব্ধ হয়ে সড়ক অবরোধ করে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল কুদ্দুসের মুঠোফোনে কল দেওয়া হলেও রিসিভ করেননি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) প্রণয় চাকমা বলেন, শ্রমিকদের সড়ক অবরোধের খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। তারা অবরোধ তুলে নিয়েছে। বিষয়টির সমাধান করতে বুধবার দুই পক্ষকে নিয়ে আমরা বসব।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম বলেন, শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নিয়েছে। সড়কে যান চলাচল এখন স্বাভাবিক আছে। বুধবার প্রশাসনের উদ্যোগে বিষয়টি মিমাংসা হবে।
মন্তব্য করুন