ঢাকামঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫, ২৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

যে কারণে শেরপুরে একরাতে অর্ধশতাধিক বিয়ে অনুষ্ঠিত

শেরপুর প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

শনিবার, ১১ মার্চ ২০২৩ , ১০:২৯ এএম


loading/img
ছবি : সংগৃহীত

বাংলা ১৪২৯ সালের ২৪ ফাল্গুন রাতে শেরপুর জেলা শহরের বিভিন্ন পাড়া ও মহল্লায় ধুমধাম করে গভীর রাত পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য সংখ্যক হিন্দু বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর আগে একই দিনে একসঙ্গে এত অধিক সংখ্যক বিয়ে অনুষ্ঠিত হওয়ার কোনো নজির নেই। একরাতে একসঙ্গে কতটি বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে তার সঠিক পরিসংখ্যান পাওয়া যায়নি। 

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) দিনগত রাতে শহরের বিভিন্ন এলাকায় সনাতন ধর্মীয়রীতি অনুযায়ী তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। 

স্থানীয়রা জানান, ১৬ মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে বাংলা ১৪২৯ সনের চৈত্র মাস। সাধারণত চৈত্র মাসে হিন্দু সম্প্রদায়ের ছেলেমেয়েদের বিয়ে হয় না। তাই ২৪ ফাল্গুন বৃহস্পতিবার রাতে জেলার বিভিন্ন স্থানে প্রায় অর্ধশত  বিয়ে সম্পন্ন হয়।

বিজ্ঞাপন
  • আরও পড়ুন: বিয়ের আসরে প্রেমিক, ফিরে গেল বরপক্ষ

শেরপুরের পুরোহিত বাবলু গোস্বামী বলেন, কথায় আছে শুভ কাজে বিলম্ব করতে নেই। চৈত্র মাসে হিন্দুদের বিয়ে হয় না। আর ফাল্গুন মাসের শেষ দিনটিতে বিয়ে না হলে ছেলেমেয়ের অভিভাবকদের প্রায় দেড় মাস অপেক্ষা করতে হবে। এতে অনেক সময় নানা ধরনের বিপত্তি আসতে পারে। এ চিন্তা মাথায় রেখে অভিভাবকরা বৃহস্পতিবারের শুভ দিনটিকে কাজে লাগিয়েছেন।

শহরের জয়ন্ত ফটোগ্রাফির কর্ণধার জয়ন্ত দে বলেন, একসঙ্গে এত বিয়ের চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। বাড়তি চিত্রগ্রাহক যুক্ত করেও কাজ শেষ করা যাচ্ছে না। প্রায় প্রতিটা বিয়ের লগ্ন মধ্যরাত দুইটার দিকে। নাইট ও আউটডোর কাজে বেগ পেতে হচ্ছে। এরপরও গ্রাহকের ইচ্ছেমতো কাজ বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি। আমাদের প্রতি আস্থা রাখায় এক রাতে দশটি বিয়ের কাজ করছি।

বিজ্ঞাপন

শেরপুরের স্থানীয় প্রাইভেট কার ও মাইক্রো স্ট্যান্ডের সভাপতি শামীম হোসেন বলেন, প্রতিটা হিন্দু বিয়েতে সাধারণত ৩ থেকে ৪টি গাড়ি লাগে। একদিনে অনেক বিয়ের কারণে গাড়ির ওপরও চাপ বেড়েছে। শহরের ভেতরে বিয়ে হলেও সবাই গাড়ি ভাড়া করেই কনের বাড়ি যায়। আজ একটা গাড়িও স্ট্যান্ডে নেই। সবগুলো ভাড়া হয়ে গেছে।

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |