কুয়াকাটা সৈকতে ‘মোখা’ দেখতে এসেছেন তারা
ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাব দেখতে কুয়াকাটা সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে ঘোরাঘুরি করছেন সহস্রাধিক পর্যটক। বৃষ্টি উপেক্ষা করে এখনও কিছুসংখ্যক পর্যটক পরিবার-পরিজন নিয়ে মোখার প্রভাব উপভোগ করতে সৈকতে নেমেছেন। ট্যুরিস্ট পুলিশ চেষ্টা করেও সৈকত থেকে পর্যটক সরাতে ব্যর্থ হচ্ছেন।
জানা গেছে, ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে বার বার মাইকে সতর্ক করা হচ্ছে। কিন্তু পর্যটকরা পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে সৈকতে নেমে পড়েন। শনিবার গভীর রাত পর্যন্ত সৈকতে পর্যটকদের উপস্থিতি ছিল। ট্যুরিস্ট পুলিশের অনুরোধে হোটেলে ফিরে গেলেও রোববার (১৪ মে) সকালে আবারও ভীড় জমান পর্যটকরা। কেউ কেউ ফেসবুকে লাইভ করছেন। কেউ প্রিয়জনকে নিয়ে গ্রুপ ছবি তুলছেন। কেউ আবার সমুদ্র পাড়ে হাঁটছেন। তবে, পর্যটকদের সৈকতে গোসল করতে নামতে দিচ্ছেন না টুরিস্ট পুলিশ ও মহিপুর থানা পুলিশ।
ঢাকার রামপুরা থেকে আগত রাকিব তাসনিম বলেন, সৈকতে বসে জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় পার করছি। সমুদ্রের বড় বড় ঢেউগুলো মজা করে উপভোগ করছি। ঝড়ে সমুদ্র কেমন থাকে তা দেখতেই কুয়াকাটায় আসা।
শরিয়তপুর থেকে আসা জহির লিমা দম্পত্তি বলেন, সবে মাত্র বিয়ে করেছি। কুয়াকাটায় হানিমুনে আসছি। পুরো সময়টা উপভোগ করছি।
ঢাকার নারায়ণগঞ্জ থেকে ১০ বন্ধু মিলে ‘মোখা’ দেখতে কুয়াকাটা এসেছেন। সৈকতের গঙ্গামতি পয়েন্টে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের পাশে গ্রুপ ফটো তুলছেন তারা। তাদের মধ্যে সোহেল মাহমুদ বলেন, সরাসরি ঘূর্ণিঝড় দেখার সুযোগ হয় না। মোখার গতিবিধি টেকনাফের দিকে থাকায় বন্ধুরা মিলে কুয়াকাটা এসেছি।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখা মেকাবেলায় আমরা সর্বদা পর্যটকদের সতর্কবার্তা পৌঁছে দিচ্ছি। নিরাপদে চলে যাওয়ার জন্য বারবার অনুরোধ করছি। কখনও কখনও তাদের ভয়াবহতা বুঝানোর চেষ্টা করছি। তবুও কিছু উৎসুক পর্যটকদের কোনোভাবেই হোটেলে পাঠানো যাচ্ছে না।
মন্তব্য করুন