গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট গণনা চলছে। এখন পর্যন্ত মোট ৪৮০টি কেন্দ্রের মধ্যে ১২৩টি কেন্দ্রের ফলাফল পাওয়া গেছে। এতে টেবিলঘড়ি প্রতীকে ৬৩,৮৭৯ ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ প্রার্থী আজমত উল্লা খান নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৫২,৯৯২ ভোট।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ চলে। এরপর শুরু হয় ভোট গণনা।
এদিন কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ছাড়াই গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা, মারামারি-হানাহানি বা কেন্দ্র থেকে এজেন্ট বের করে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেনি। ভোটাররা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট দিতে পেরেছেন। ভোটের সার্বিক পরিবেশ নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন ভোটার এবং প্রার্থীরাও।
এবার গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটযুদ্ধে অংশ নেন ৩৩৩ জন প্রার্থী। এরমধ্যে মেয়র পদে ৮ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৪৬ জন ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৭৯ জন প্রার্থী রয়েছেন।
মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন অ্যাডভোকেট মো. আজমত উল্লা খান, জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে লাঙল প্রতীকে এম এম নিয়াজ উদ্দিন, গণফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে মাছ প্রতীকে আতিকুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী হাতপাখা প্রতীকে গাজী আতাউর রহমান ও জাকের পার্টির প্রার্থী হিসেবে গোলাপ ফুল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মো. রাজু আহম্মেদ। এ ছাড়া তিনজন স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন। তারা হলেন- টেবিলঘড়ি প্রতীকে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুন, ঘোড়া প্রতীকে মো. হারুন-অর-রশীদ ও হাতি প্রতীক নিয়ে লড়েন সরকার শাহনুর ইসলাম।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনে মোট ভোটার ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৬৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৪৭ জন, নারী ভোটার ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৮ জন ও তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার আছে ১৮ জন।