হত্যা চেষ্টা মামলায় নওগাঁর আত্রাই উপজেলার বিশা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন খান তোফাসহ ৯ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আবু শামীম আজাদের আদালতে ওই ৯ জন জামিনের জন্য আবেদন করলে তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নওগাঁ কোর্ট ইন্সপেক্টর মাসুদ রানা।
মামলা সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ১ আগস্ট বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল মান্নান মোল্লা মোটরসাইকেল নিয়ে ইউনিয়নের সমসপাড়া বাজারে দলীয় অফিসে যাচ্ছিলেন। এ সময় ভাঙ্গা-জাঙ্গাল বাজারে পৌঁছালে কয়েকজন যুবক পথরোধ করে এলোপাতাড়ি মারধর করে তার বাম পা ভেঙে দেওয়াসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম হয়। মৃত্যু নিশ্চিত ভেবে তাকে রেখে চলে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা।
পরে সংবাদ পেয়ে আবদুল মান্নানের বড় ভাই চাঁন মোল্লা ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে নাটোর সদর হাসপাতালে নেয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
এ ঘটনার পরের দিন চাঁন মোল্লা বাদী হয়ে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন খান তোফাকে প্রধান আসামি করে ২২ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। পরে চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন খান তোফাসহ ১৮ জন আসামি উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের জামিন নিয়ে আসেন। জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় তোফাজ্জল হোসেনসহ নয়জন আসামি মঙ্গলবার আদালতে হাজির হয়ে আবারও জামিনের আবেদন করলে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার বাদী চাঁদ মোল্লা বলেন, আমার ছোট ভাইকে হত্যার উদ্দেশে অন্যায়ভাবে জখম করা হয়েছে। এমন জঘন্যতম অপরাধের জন্য আমি এর সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে রাষ্ট্রেপক্ষের বিশেষ কৌশলী আবদুল খালেক বলেন, আসামিরা উচ্চ আদালতে জামিনের জন্য আবেদন করেছিল। কিন্তু আদালত তাদের ৬ সপ্তাহের মধ্যে জেলা দায়রা ও জজ আদালতে হাজিরা দিতে নির্দেশনা দিয়েছিল। আর এ সময়ের মধ্যে পুলিশ তাদের আটক করবে না। মঙ্গলবার আসামিরা স্বশরীরে হাজিরা দিতে এসেছিল। বিচারক কাগজপত্র দেখার পর তাদের জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।