মাদরাসাছাত্রকে নির্যাতনের অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে, থানায় অভিযোগ

কুড়িগ্রাম (উত্তর) প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

বুধবার, ১১ অক্টোবর ২০২৩ , ০৯:৫২ পিএম


মাদরাসাছাত্রকে নির্যাতনের অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে, থানায় অভিযোগ
ছবি: সংগৃহীত

কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীর দারুল উলুম আশরাফিয়া মাদরাসার পরিচালক ও প্রধান শিক্ষক মুফতী মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে এক ছাত্রকে অমানুষিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। নির্যাতনের শিকার আহত মাদরাসা ছাত্র বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় নির্যাতনের শিকার ছাত্র শামীম হোসেনের পিতা আনোয়ার হোসেন বাদী হয় মতিউর রহমান ও তার সহযোগি মুফতী সাইফুল্লার নামে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। 

বিজ্ঞাপন

বুধবার (১১ অক্টোবর) অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভুরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন। এর আগে গত মঙ্গলবার বিকেলে ওই মাদরাসায় ঘটনাটি ঘটে। পরে সন্ধ্যায় উত্তেজিত জনতা অভিযুক্ত মতিউর রহমানের শাস্তির দাবিতে ওই মাদরাসা ঘেরাও করেন। 

নির্যাতনের শিকার হওয়া শিক্ষার্থীর নাম শামীম হোসেন (১৫)। সে উপজেলার জয়মনিরহাট ইউনিয়নের দক্ষিণ শিংঝাড় গ্রামের কাঠমিস্ত্রী আনোয়ার হোসেনের ছেলে ও দারুল উলুম আশরাফিয়া মাদরাসার উর্দু ফার্সি কিতাবখানা বিভাগের ছাত্র।

বিজ্ঞাপন

পরিবারের অভিযোগ মঙ্গলবার বিকেলে শামীম মোবাইলে ইসলামি বক্তাদের ওয়াজ দেখছিল। মোবাইল দেখার অপরাধে মাদরাসার পরিচালক ও প্রধান শিক্ষক মুফতী মতিউর রহমান তার আরেক সহযোগী মুফতী সাইফুল্লাহর উপস্থিতিতে শামীমকে বেধড়ক পিটুনি দেন। পিটুনিতে শামীমের শরীরের বিভিন্ন স্থান মারাত্মকভাবে জখম হয়। এরপর তিনি একটা সাদা স্ট্যাম্পে শামীমের স্বাক্ষর নিয়ে রাখেন। এ ঘটনা কাউকে জানালে মাদরাসা থেকে বহিষ্কার করার ভয়ভীতি দেখান।

শামীম গোপনে তার এক খালার বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি জানিয়ে অভিভাবকদের খবর দিতে বলে। খবর পেয়ে শামীমের বাবা-মা এসে তাকে ভুরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। শামীমকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার সময় স্থানীয়রা নির্যাতনের বিষয়টি জানতে পারেন। তারা ক্ষিপ্ত হয়ে মাদরাসা ঘেরাও করে মতিউর রহমানের শাস্তি দাবি করেন। মতিউর রহমান পেছনের গেট দিয়ে পালিয়ে যান। খবর পয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে।

নির্যাতনের শিকার মাদরাসা ছাত্র শামীম বলে, প্রায় সময়ই প্রধান শিক্ষক ছাত্রদের সামান্য কারণে মারপিট করেন এবং সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে রাখেন।

বিজ্ঞাপন

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ড. এ এস এম সায়েম জানান, শামীম হোসেন নামের এক শিক্ষার্থী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। 

ভুরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অভিযুক্তদের আটকের চেষ্টা চলছে। 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) গোলাম ফেরদৌস বলেন, শিক্ষকের নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন

Loading...


© All Rights Reserved 2016-2025 | RTV Online | It is illegal to use contents, pictures, and videos of this website without authority's permission