বয়লার বিস্ফোরণে একই পরিবারের তিনজন নিহত
ঠাকুরগাঁও সদর থানার পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় চালকলে বয়লার বিস্ফোরণে একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনা ঘটে।
তিনজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ ওয়াহিদ। তিনি বলেন, সকালে চালকলে বয়লার বিস্ফোরণে তিনজন নিহত হয়েছেন।
-
আরও পড়ুন : নৌকার সমর্থককে গুলি করে হত্যা
তাৎক্ষণিকভাবে নিতহতদের নামপরিচয় জানাতে না পারলেও তারা একই পরিবারের সদস্য বলে নিশ্চিত করেছেন ওসি। মরদেহ উদ্ধার করতে ঘটনাস্থলে গেছে পুলিশ।
মন্তব্য করুন
স্বামীকে ৯ টুকরো করে সেপটিক ট্যাংকে ফেলেন স্ত্রী
পারিবারিক কলহের জেরে স্বামীকে ৯ টুকরো করে সেপটিক ট্যাংকে ফেলার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রীর বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরের ফরদাবাদ ইউনিয়নের ফরদাবাদ গ্রাম থেকে অরুণ মিয়া নামের এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, প্রায় ৩৫ বছর আগে প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর ফরদাবাদ গ্রামের তারু মিয়ার মেয়ে মোমেনা বেগমকে বিয়ে করেন অরুণ মিয়া। বিয়ের পর থেকে দাম্পত্য কলহ লেগেই থাকত। অরুণ-মোমেনার দুই ছেলে ও এক কন্যা আছে। গত শুক্রবার বিকেল থেকে নিখোঁজ হন অরুণ। তার প্রথম স্ত্রীর ছেলে লুৎফর রহমান রুবেল সোমবার বাঞ্ছারামপুর মডেল থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে অরুণ মিয়ার পাশের বাড়ির সৌদি প্রবাসী মনির হোসেনের সেপটিক ট্যাংক থেকে দুর্গন্ধ বের হতে দেখে সন্দেহ হয় এলাকাবাসীর। টর্চ লাইট দিয়ে ট্যাংকের ভেতরে দেখে পলিথিন মোড়ানো কয়েকটি বস্তু দেখতে পায় তারা। খবর পেয়ে মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে লাশের খণ্ডিত অংশ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মোমেনা বেগম, তার ছেলে রাসেল এবং মেয়ে লাকী আক্তারকে আটক করেছে পুলিশ।
প্রাথমিকভাবে পুলিশের কাছে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন নিহতের স্ত্রী মোমেনা বেগম। তিনি জানিয়েছেন, গত শুক্রবার কলহের একপর্যায়ে শাবল দিয়ে মাথায় আঘাত করলে অরুণ মিয়া মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে লাশ নিজেই নয় টুকরো করে পলিথিনে পেচিয়ে ইট মুড়িয়ে পাশের বাড়ির মনিরের সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেয়।
বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুজন কুমার পাল জানান, এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী ও দুই সন্তানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার তাদের আদালতে পাঠানো হবে।
আরটিভি/এসএপি-টি
২৬ হাজার টাকায় বিক্রি হলো ৩ ইলিশ
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় পদ্মা নদীতে সাড়ে ছয় কেজি ওজনের তিনটি বড় ইলিশ ধরা পড়েছে আব্দুল হাই হালদার নামের এক জেলের জালে। বগুড়ার এক প্রবাসী ক্রেতা মাছ তিনটি ২৬ হাজার টাকা দিয়ে কিনে নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
বুধবার (২ অক্টোবর) বিকেলে দৌলতদিয়া ঘাটে অনলাইনে মাছ তিনটি কিনে নেন বগুড়ার ওই ক্রেতা।
জানা যায়, বুধবার দুপুরে জেলে আবদুল হাই হালদার তার দলবল নিয়ে পদ্মা নদীতে মাছ শিকারে বের হন। বিকেলের দিকে তাদের জালে তিনটি বড় সাইজের ইলিশ ধরা পড়ে। তারা সন্ধ্যায় দৌলতদিয়ার ৫ নম্বর ফেরিঘাটে নিয়ে মাছ তিনটির ওজন দিয়ে দেখেন ৬ কেজি ৫০০ গ্রাম। পরে ফেরিঘাটের মাছ ব্যবসায়ী সম্রাট শাহজাহান শেখ জেলে আবদুল হাইয়ের কাছ থেকে সরাসরি মাছগুলো ৩ হাজার ৮০০ টাকা কেজি দরে ২৪ হাজার ৭০০ টাকা দিয়ে কিনে নেন।
শাকিল-সোহান মৎস্য আড়তের মালিক সম্রাট শাহজাহান শেখ বলেন, পদ্মার বড় ইলিশের চাহিদা অনেক। ক্রেতাও রয়েছে ভালো। সন্ধ্যার দিকে জেলে আবদুল হাই হালদার মাছ তিনটি দৌলতদিয়ার ৫ নম্বর ফেরিঘাট এলাকায় নিয়ে এলে আমি তার কাছ থেকে ৩ হাজার ৮০০ টাকা কেজি দরে ২৪ হাজার ৭০০ টাকায় ক্রয় করি। পরে নিজের ফেসবুক পেজে মাছের ছবি দিয়ে একটি পোস্ট করলে কিছুক্ষণ পর এক লন্ডন প্রবাসী ভাই আমার সঙ্গে ফেসবুকে যোগাযোগ করে বগুড়ায় তার আত্মীয়স্বজনের জন্য মাছ তিনটি ৪ হাজার টাকা কেজি দরে মোট ২৬ হাজার টাকায় কিনে নেন। পরে আমি আমার লোক দিয়ে মাছ তিনটি বগুড়ায় তার বাড়িতে পাঠাই।
রাজবাড়ী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোস্তফা আল রাজীব বলেন, দুই কেজি ওজনের ইলিশ মাছ সচরাচর কম দেখা যায়। এখন প্রায়ই দৌলতদিয়ায় বড় সাইজের ইলিশ মাছ জেলেদের জালে ধরা পড়ছে। এই মাছগুলো বিক্রি করে জেলেরা লাভবান হচ্ছেন।
আরটিভি/এফআই-টি
হঠাৎ কলাইখেতে নামল হেলিকপ্টার, অতঃপর...
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে পাবনার সাঁথিয়ার ক্ষেতুপড়া ইউনিয়নের মিয়াপুর গ্রামের কলাইখেতে হঠাৎ একটি হেলিকপ্টার অবতরণ করে। আধা ঘণ্টা অবস্থানের পর হেলিকপ্টারটি গন্তব্যে যাত্রা করে।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকা থেকে আসা হেলিকপ্টারটি পাবনার আতাইকুলা যাওয়ার সময় জরুরি অবতরণ করে। হেলিকপ্টার অবতরণের খবরে সেখানে ভিড় করে এলাকার উৎসুক জনতা।
সাঁথিয়া ফায়ার স্টেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দাসুদেব সরকার জানান, তারা ৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তবে তার আগেই হেলিকপ্টারটি গন্তব্যে উড়াল দেয়।
সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, হেলিকপ্টারটি আকিজ গ্রুপের। ঘটনাস্থল থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে আতাইকুলায় তাদের কারখানা রয়েছে। সেখানে যাওয়ার পথে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় পাইলট এটিকে জরুরি অবতরণ করান। হেলিকপ্টার ও যাত্রীদের কোনো ক্ষতি হয়নি।
আরটিভি/এএএ/এসএ
পাইকগাছায় বাড়ির মালিক ও রাজমিস্ত্রির বউ বদল
খুলনার পাইকগাছায় রাজমিস্ত্রীর কাজ করার সুবাদে মালিকের বউয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে পালিয়ে যায় রাজমিস্ত্রী। ওই ঘটনার প্রতিশোধ নিতে রাজমিস্ত্রীর স্ত্রীকে মালিক বিয়ে করার ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। এলাকাবাসী বলেছেন, যেমন কর্ম তেমন ফল। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার রাড়ুলী ইউনিয়নে।
জানা গেছে, কাজ করতে এসে পরিচয় ঘটে ঘরের মালিক কামালের স্ত্রীর সাথে রাজমিস্ত্রী মোস্তফা দফাদারের। ৮ দিনের পরিচয়, ৪ দিনের পরকীয়া ও ৫ দিন পর পালিয়ে হয় বিয়ে। রাজমিস্ত্রী মোস্তফা দফাদার উপজেলার শ্রীকান্ঠুপুর গ্রামের সামছুর দফাদারের ছেলে। সামছুর রহমান লস্কর ইউনিয়নের আলমতলা গ্রামের বাসিন্দা হলেও শ্রীকান্ঠুপুর গ্রামে ঘরজামাই থাকেন।
আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহের দিকে রাড়ুলী গ্রামের কামাল সরদারের বাড়িতে রাজমিস্ত্রীর কাজ করতে আসেন মোস্তফা দফাদার। পরকীয়ার জের ধরে রাজমিস্ত্রী মোস্তফা ঘরের মালিকের স্ত্রীকে ১৫ আগস্ট ভাগিয়ে নিয়ে বিয়ে করেন।
বিষয়টি জানার পর ঘরের মালিক কামালের পরিবার ও এলাকাবাসীর পরিকল্পনায় যোগাযোগ করা হয় মোস্তফার স্ত্রীর পরিবারের সাথে মোস্তফার স্ত্রীর সাথে কামালের বিয়ে দেয়ার জন্য। একপর্যায়ে পাকাপোক্ত আলোচনা শেষে ১৯ সেপ্টেম্বর কামাল সরদারের সাথে বিয়ে হয় মোস্তফার স্ত্রীর।
বিষয়টি উভয়পক্ষের কাছে জানতে চাইলে তারা স্বীকার করেন। সম্প্রতি বিষয়টি জানাজানি হলে বেশ মুখরোচক হয়েছে। ঘটনাটি জানাজানি হলে উভয়ের বাড়িতে ভিড় করছেন উৎসুক জনতা।
আরটিভি/ ডিসিএনই
প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে মন্তব্য, এবার উপজেলা কর্মচারী বরখাস্ত
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম উর্মির পর এবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে ফেসবুকে মন্তব্য করে বরখাস্ত হলেন ঝালকাঠি সদর উপজেলা পরিষদের কর্মচারী এস এম মনিরুজ্জামান।
সোমবার (৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। মনিরুজ্জামান উপজেলা পরিষদের সাঁট মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে কর্মরত ছিলেন। একইসঙ্গে তিনি উপজেলা চেয়ারম্যানের গোপনীয় সহকারীর (সিএ) দায়িত্বে ছিলেন।
জানা গেছে, প্রথম আলোর অনলাইন পেজের একটি নিউজের লিংকের মন্তব্যের ঘরে মনিরুজ্জামান লিখেছেন, ‘আগে জেলে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল, এখন ফাঁসি নিশ্চিত (যদি বাংলাদেশে জীবিত থাকেন)।’ এরপর বিষয়টি জেলা প্রশাসক আশরাফুর রহমানের নজরে এলে মনিরুজ্জামানকে বরখাস্ত করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ জারি করা হয়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, তিনি এর আগে ঝালকাঠি জেলা ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদকসহ দলের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
তাকে বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারহানা ইয়াসমিন বলেন, ‘তিনি যা করছেন সরকারি চাকরিজীবীদের তা করা অনুচিত। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।’
এর আগে ফেসবুকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বরখাস্ত হয়েছেন লালমনিরহাটের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম উর্মি। সেইসঙ্গে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।
আরটিভি/এসএপি
আমার মেয়ে চাকরির বিধি লঙ্ঘন করেছে, এটা অপরাধ: ঊর্মির মা
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান নিয়ে ‘কটূক্তি’ করে এবং ছাত্র আন্দোলনে নিহত আবু সাঈদকে ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দিয়ে সম্প্রতি আলোচনায় আসেন সাময়িক বরখাস্ত হওয়া লালমনিরহাট জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম ঊর্মি। এবার মেয়ের কর্মকাণ্ড নিয়ে মুখ খুলেছেন তার মা নাসরিন জাহান। বলেছেন, ঊর্মি চাকরির বিধি লঙ্ঘন করেছে। এটা তার ঠিক হয়নি। এটা একটা বড় অপরাধ।
সোমবার (৭ অক্টোবর) রাতে তাপসী তাবাসসুম ঊর্মির মা নাসরিন জাহান এক সংবাদমাধ্যমকে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা যুদ্ধ করিনি, যুদ্ধ দেখিনি। যে যুদ্ধ হয়েছে, সেটা ইতিহাস। তবে ইতিহাসকে অস্বীকার করার উপায় নেই। আমরা আমাদের মা-বাবাকে অস্বীকার করতে পারবো কি?’
তিনি আরও বলেন, ‘ঊর্মি ছাত্রজীবনে কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিল না। তবে ২০১৮ সালে কোটা আন্দোলনে সম্পৃক্ত ছিল। তখন তার ৪০তম বিসিএস পরীক্ষা ছিল। সে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করেছে। সেখান থেকে মাস্টার্স করেছে। আমার সন্তানরা কোনো রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নেই। আমরা খুব সাধারণ জীবনযাপন করি।’
স্থানীয় জানান, তাপসী তাবাসসুম ঊর্মি নেত্রকোণার পূর্বধলা উপজেলার সদর ইউনিয়নের নসিবপুর গ্রামের মো. ইসমাইল হোসেনের মেয়ে। তার বাবা ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ। এ ছাড়াও তিনি ময়মনসিংহ নগরীর ঐতিহ্যবাহী আনন্দ মোহন কলেজসহ বিভিন্ন সরকারি কলেজে শিক্ষকতা করেছেন। তবে বর্তমানে তিনি অবসর জীবনযাপন করছেন। ঊর্মির মা নাসরিন জাহান বর্তমানে মুক্তাগাছার হাজী কাশেম আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজে গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। বর্তমানে তারা ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় কারাগারের পেছনে কাশর জেল রোড এলাকায় নিজ বাসায় বসবাস করেন।
এ বিষয়ে পূর্বধলা সদর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আজিম উদ্দিন বলেন, ঊর্মির ছোটবেলা থেকেই মেধাবী ছিলেন। তিনি মাধ্যমিক পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। সেখান থেকে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়ালেখা শেষ করে ২০২২ সালে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন। দুই বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে ঊর্মি সবার বড়। ছোট ভাই জার্মানির একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করছেন।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ফেসবুকে পোস্ট করে বিতর্কের জন্ম দেন তাপসী তাবাসসুম ঊর্মি। সেখানে তিনি লেখেন, সাংবিধানিক ভিত্তিহীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, রিসেট বাটনে পুশ করা হয়েছে। অতীত মুছে গেছে। রিসেট বাটনে ক্লিক করে দেশের সব অতীত ইতিহাস মুছে ফেলেছেন তিনি। এতই সহজ। কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে আপনার, মহাশয়। তার এই পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনায় মুখে পড়েন ঊর্মি। এ ঘটনায় গত রোববার ঊর্মিকে ওএসডি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বদলি করা হয়। এরপর সোমবার তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
আরটিভি/এমকে/এআর
স্ত্রীকে নিয়ে লাপাত্তা মুয়াজ্জিন, খবর শুনে অসুস্থ প্রবাসী স্বামী
খুলনার পাইকগাছায় পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে ৩ সন্তানকে রেখে ২ সন্তানের জনক মসজিদের মুয়াজ্জিনের সঙ্গে পালিয়ে গেছেন সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী। মাকে ফিরে আসার জন্য শিশুকন্যার আহাজারি চলছে প্রবাসীর বাড়িতে। এ খবর পেয়ে সৌদিতে অসুস্থ হয়ে গেছেন প্রবাসী।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার চাঁদখালী ইউনিয়নের শাহপাড়া গ্রামে। মাকে ফেরত পেতে থানায় অভিযোগ করেছেন এইচএসসি পড়ুয়া প্রবাসীর বড় মেয়ে।
জানা গেছে, চলতি বছর আগস্ট মাসের ১৩ তারিখ সকাল ১০টার দিকে পাইকগাছার ফসিয়ার রহমান মহিলা কলেজে পড়ুয়া মেয়ের কাছে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে সুরাইয়া খানম আর বাড়িতে ফিরে আসেননি। পরে জানা গেছে, পার্শ্ববর্তী আশাশুনি উপজেলার বড়দল গ্রামের শওকত গাজীর ছেলে মোতাহার রহমান মিন্টুও (৪০) লাপাত্তা। তিনি চাঁদখালী বাজারের কাপড় ব্যবসায়ী ও মসজিদের মুয়াজ্জিন। এক বছর আগে সুরাইয়ার সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্র ধরে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন তারা। সুখের সংসার করার জন্য তারা পালিয়ে গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মুয়াজ্জিন মিন্টুর স্ত্রী জানান, ১০ বছরের একটি মেয়ে ও ৪ বছরের ছেলে রেখে পরকীয়া করে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে গেছেন তার স্বামী। এরপর থেকে তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না। বাচ্চাদের নিয়ে দরিদ্র বাপের বাড়িতে খুব কষ্টে আছেন বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে পাইকগাছা থানা উপপুলিশ পরিদর্শক শ্যামা প্রসাদ জানান, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। কিন্তু তাদের সন্ধান না পাওয়ায় কিছু করতে পারিনি।
আরটিভি/এফএ/এসএ