মমতাজের কর্মীদের ব্যাপক মারধরের অভিযোগ
মানিকগঞ্জ-২ আসনের পরাজিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মমতাজ বেগমের কর্মী সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলুর লোকজনের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার পূর্বভাকুম এলাকায় নিজ বাড়ির উঠানে কর্মীসভায় মমতাজ বেগম এমন অভিযোগ করেন।
-
আরও পড়ুন : শপথ নিলেন নবনির্বাচিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা
মমতাজ বেগম বলেন, নির্বাচনের রাত্রি থেকে বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলুর লোকজন আমাদের অসংখ্য নেতাকর্মীর বাড়িতে হামলা করেছে। শিশু নারীরাও হামলা থেকে রেহাই পাচ্ছে না।
মমতাজ বেগম বলেন, প্রতিনিয়ত আমাদের নেতাকর্মীদের বাড়িতে ককটেল ফোটাচ্ছে। অকথ্য ভাষায় গালাগালি করছে। তারা সিংগাইর পৌরসভার কাউন্সিলর সোহেল, তার স্ত্রী ও মেয়ের ওপর হামলা করেছে। চান্দহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের মুরগির খামারে আগুন দিয়েছে, জয়মন্টপ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসলামকে তারা মারধর করেছে। সে কোন রকমে জীবন নিয়ে পালিয়েছে।
মমতাজ বেগম বলেন, সিংগাইর উপজেলার চান্দহর, জামির্তা, তালেবপুর, জামশা, সিংগাইর পৌরসভা, হরিরামপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর, বয়রা, বলধরা এবং মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আমাদের অন্তত ৫০ জন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীকে আহত করা হয়েছে। আমরা থানার ওসি ও এসপি সাহেবকে জানিয়েছি। ডিএমপির কমিশনারকে জানিয়েছি। থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। তারপরেও এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মমতাজ বেগম বলেন, আপনাদের কারও ওপর হামলা হলে, আঘাত করলে আমাদের জানাবেন। আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা হলে আমরাও বসে থাকবো না। তবে, আপনারা আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না। আপনাদের কারও ওপর হামলা হলে আমরা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সম্মিলিতভাবে আপনাদের পাশে দাঁড়াবো। ভয় পাবেন না।
তার এই কর্মীসভায় আরও বক্তব্য রাখেন পরাজিত কেটলী প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী, সাবেক দুবারের সিংগাইর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, সিনিয়র আওয়ামী লীগ নেতা মুশফিকুর রহমান খান হান্নান, সিংগাইর পৌরসভার মেয়র আবু নাঈম মো. বাশার, সিংগাইর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুর রহমানসহ হামলার শিকার নেতাকর্মীরা।
এই কর্মীসভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী।
মন্তব্য করুন