দাউদকান্দি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের ওপর হামলা
কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান তারিকুল ইসলাম নয়নকে মারধর করার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ছড়িয়ে পড়েছে। অভিযোগ ওঠেছে, পাওনা টাকা আদায়ে ভুক্তভোগীরা তার উপর চড়াও হয়।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে দাউদকান্দি বিশ্ব রোড এলাকায় কেন্দ্রীয় ঈদগার সামনে এ ঘটনা ঘটে তারিকুল ইসলাম নয়নের ওপর হামলার এ ঘটনা ঘটে।
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, ভাইস চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম নয়ন হেঁটে আসার সময় ৪ থেক ৫ যুবক তার গতিরোধ করে কিল, ঘুষি ও লাথি মারে। পরে ওই ভাইস চেয়ারম্যান হেঁটে ঘটনাস্থল থেকে চলে যান।
হামলার ঘটনা প্রসঙ্গে ভাইস-চেয়ারম্যান নয়ন বলেন, নির্বাচনে আমি স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী ব্যারিস্টার নাঈম হাসানের পক্ষে কাজ করেছিলাম, এটাই আমার অপরাধ। এ কারণে নবনির্বাচিত সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর সাহেবের কর্মীসমর্থকরা আমার ওপর হামলা করে। এ বিষয়ে আমি মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। দোষীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
এ বিষয়ে দাউদকান্দি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. মহিউদ্দিন সিকদার জানান, ভাইস চেয়ারম্যান যা বলছে তা মিথ্যা কথা। আওয়ামী লীগের কর্মী বা সমর্থকেরা তার ওপর হামলা করেনি। ব্যক্তিগত শত্রুতার কারণে কে বা কারা তার ওপর হামলা করেছে, আর দোষ দেয়া হচ্ছে নৌকার কর্মী সমর্থকদের ওপর।
তবে এলাকাবাসীর অভিযোগ, পাওনা টাকা আদায়ে ভুক্তভোগীরা তারিকুল ইসলাম নয়নের উপর চড়াও হয়।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মঞ্জু জানান, আমি রাজমিস্ত্রীর কাজ করি। নয়ন আমাকে ঠিকাদারি কাজ পাইয়ে দিবে বলে,আমার কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা নেয়। ঠিকাদারী কাজ না দিয়ে উল্টো পাওনা টাকা চাইতে গেলে তারিকুল ইসলাম নয়ন আমাকে প্রাননাশের হুমকি দিত। ভুক্তভোগী মন্জু কান্নাজড়িত কন্ঠে আরও বলেন,আমি দরিদ্র মানুষ। দিন এনে দিন খাই। অনেক কষ্টে সুদে লাভে টাকা এনে নয়নকে দিয়েছিলাম। গত শুক্রবার আমি তার কাছে পাওনা টাকা ফেরত চাইলে,নয়ন প্রথমে আমাকে মারধর করে। পরে আমার চেনাপরিচিতরা আমাকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসে। এ ঘটনার অনেকে সাক্ষী আছে।
মন্তব্য করুন