কুড়িগ্রামে মৃদু শৈত্যপ্রবাহে জনজীবন স্থবির
কুড়িগ্রামে দ্বিতীয় দিনের মতো জেলাজুড়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিস এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিস বলছে, আজ ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা এ বছরে জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। ফলে গত দুদিন ধরে তাপমাত্রা দ্রুত কমে গিয়ে শীতের দাপট এখন জেলায় চরমে পৌঁছেছে। দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে সাধারণ জনজীবন। সাধারণ মানুষের ভোগান্তি অনেক খারাপ পর্যায়ে চলে গেছে।
-
আরও পড়ুন : জয়পুরহাটে শীতের তীব্রতায় কাঁপছে মানুষ
এ দিকে তীব্র ঠান্ডায় জুবুথুবু অবস্থা বিরাজ করায় ও মৃদু শৈত্যপ্রবাহে জেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় সোমবারও ছুটি ঘোষণা করেছে শিক্ষা প্রশাসন। এ নিয়ে জেলায় শৈত্যপ্রবাহে বিদ্যালয়গুলো ৩ দিন ছুটিতে পড়ল। তবে অভিভাবকরা এ ব্যাপারে স্বস্তি প্রকাশ করেন এবং জেলা প্রশাসন ও জেলা শিক্ষা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান।
কুড়িগ্রাম সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের অভিভাবক নাসরিন জাহান জানান, সামনে ফেব্রুয়ারি মাসের শুরু শীত শেষ হওয়া পর্যন্ত শৈত্যপ্রবাহ প্রবাহিত না হলে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপর তাপমাত্রা হলে একটু দেরিতে ১১টায় স্কুল চালু করা যায় কি না সে ব্যাপারে শিক্ষা প্রশাসনকে অনুরোধ জানাই।
এদিকে অতিরিক্ত ঠান্ডায় জেলার সর্বত্রই কাহিল অবস্থা বিরাজ করছে। উত্তরের এ জনপদে সন্ধ্যার পরপরই অতিরিক্ত ঠান্ডার দাপটে জনশূন্য হয়ে পড়ে রাস্তাঘাট। প্রয়োজন ছাড়া কেউই ঘরের বাইরে থাকেন না বলে গত দুদিন ধরে শৈত্যপ্রবাহ দেখা যাচ্ছে। রাতভর ঘন কুয়াশা পড়েছে, সকাল পর্যন্ত তা চলতে থাকবে। রাস্তাঘাট দেখা যায়না এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে শীতের হিমেল হাওয়া। ফলে তীব্র ঠান্ডার কারণে মানুষ ঘর থেকে বের হতে সাহস পাচ্ছেন না।
ঠান্ডার প্রভাব না কমায় শ্রমজীবী নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ পড়েছেন চরম বিপাকে। কাজে যেতে না পেরে পরিবার পরিজন নিয়ে কষ্টে দিন কাটছে অনেক শ্রমিকের। এ ছাড়াও কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে প্রতিদিন ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া নিয়ে রোগী ভর্তি হচ্ছে। এদের মধ্যে অধিকাংশ শিশু ও বৃদ্ধ। জেলা প্রশাসন থেকে সরকারিভাবে ৬৩ হাজার কম্বল বিতরণ করা হলেও এখনও উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে অনেকের হাতে তা পৌঁছায়নি। শীতার্ত মানুষের দাবি আরও শীতবস্ত্র প্রয়োজন এ জেলায়।
মন্তব্য করুন