ফেরিডুবি : রজনীগন্ধা ফেরির দ্বিতীয় মাস্টার বরখাস্ত
মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে নয়টি ট্রাক নিয়ে ফেরি রজনীগন্ধা ডুবে যাওয়ার ঘটনায় ফেরির দ্বিতীয় মাস্টার আঞ্জুমানকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া ফেরি উদ্ধার অভিযান আনুষ্ঠানিকভাবে সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) চেয়ারম্যান মতিউর রহমান উদ্ধার হওয়া ফেরি রজনীগন্ধার পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পদ্মার ৫০ ফুট পানির নিচে নিমজ্জিত ফেরিটি উদ্ধারে সক্ষম হয়েছে উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয়। অষ্টম দিনের উদ্ধার অভিযানে ডুবে যাওয়া নয়টি ট্রাকও উদ্ধার করা হয়েছে।
এর আগে গতকাল বুধবার (২৪ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে ডুবে যাওয়া ফেরি রজনীগন্ধাকে পানির উপরিভাগ থেকে সোজা করে টেনে পাটুরিয়া ফেরিঘাটে নদীর তীরে ভেড়ানো হয়।
নৌবাহিনীর ডুবুরি দলের প্রধান লেফটেন্যান্ট শাহ পরান গণমাধ্যমকে বলেন, নৌবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস এবং বিআইডব্লিউটিএর ডুবুরি দলের সদস্যরা যৌথভাবে কাজ করে প্রায় ৫০ ফুট পানির নিচে থাকা ফেরিটি উঠিয়ে ভাসমান অবস্থায় এয়ার লিফটিং ব্যাগ এবং ওয়্যার রোপ (শক্তিশালী তামার তার) দিয়ে ধরে রাখে। পরে বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ফেরিটি সোজা করে উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয়ের মাধ্যমে টেনে পাটুরিয়া ঘাটে ভিড়ানো হয়। এখন সেখানেই ফেরিটি নোঙর করে রাখা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) রাত ১২টার পর রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া প্রান্ত থেকে পাটুরিয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে ইউটিলিটি ফেরি রজনীগন্ধা। রাত দেড়টার দিকে ঘন কুয়াশার কারণে পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ঘাটের অদূরে পদ্মা নদীতে আটকা পড়ে ফেরিটি। পরের দিন, ১৭ জুন সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ফেরিটি ডুবে যায়। ফেরিতে থাকা ফেরির স্টাফ ও যানবাহনের চালক-সহযোগি মিলে ২১ জনের মধ্যে ২০ জনই নিরাপদে ফিরে আসতে পারলেও নিখোঁজ থাকেন ফেরিটির দ্বিতীয় ইঞ্জিন মাস্টার হুমায়ুন কবির। সোমবার বিকেলে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা দুর্ঘটনাস্থলের প্রায় ১২ কিলোমিটার ভাটিতে হরিরামপুর উপজেলার বাহাদুরপুর এলাকায় পদ্মা নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
মন্তব্য করুন