কুড়িগ্রামে শীতের প্রভাবে মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। প্রচণ্ড শীতে কাঁপছে এ জেলার মানুষ। ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় জেলাজুড়ে জবুথবু অবস্থা বিরাজ করছে। ব্যহত হচ্ছে সাধারণ জীবনযাত্রা।
শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার অফিস জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করে ৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে এ জেলায় মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বইছে।
ফলে জেলার ছিন্নমূল মানুষ ও খেটে খাওয়া শ্রমিক শ্রেণির লোকজন রয়েছেন চরম বিপাকে।
সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, প্রচণ্ড শীতে নিম্ন আয়ের ও সাধারণ মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে উত্তাপ নেওয়ার চেষ্টা করছেন। আগুন জ্বালিয়ে উত্তাপ নিতে গিয়ে এবং গরম পানি করতে গিয়ে দগ্ধের ঘটনা ঘটলেও মানুষ আগুনের তাপ নিচ্ছেন। দুপুরের পর সূর্যের দেখা মিললেও তাপমাত্রা তেমনটা বাড়েনি।
এ শীতের প্রকোপে জেলার জেনারেল হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে প্রতিদিন বাড়ছে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়াসহ নানা শীতজনিত রোগী। এদের অধিকাংশ শিশু ও বৃদ্ধ।তবে হাসপাতালে বেডের চেয়ে রোগী বেশি হওয়ায় গাদাগাদি করে রোগীদের চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।
তাপমাত্রা নিম্নগামী হওয়ায় শীতে কষ্টে পড়েছেন ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা ও দুধকুমরসহ ১৬টি নদ-নদী তীরবর্তী চরাঞ্চলের মানুষজন। নদী পাড়ে হিমেল হাওয়ায় কাহিল হয়ে পড়েছেন এখানকার মানুষ।
এদিকে গত এক সপ্তাহ যাবৎ জেলায় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে থাকায় জেলার মাধ্যমিক ও প্রাথমিক পর্যায়ের ২ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও জেলায় মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। যা আগামী আরও দুদিন অব্যাহত থাকলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না খোলার সম্ভাবনাই বেশি বলে জানা গেছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাঈদুল আরীফ জানান, ইতোমধ্যে ৬৭ হাজার কম্বল শীতার্তদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। তবে আরও শীতবস্ত্র বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শিগগিরই সেগুলো বণ্টন করা হবে।