সরকারকে বিব্রত করতেই চালের মূল্যবৃদ্ধি : ভোক্তার ডিজি
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেছেন, সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলতেই অযৌক্তিকভাবে চালের দাম বাড়ানো হয়েছে। যারা চালের দাম বাড়াচ্ছে রমজানের আগেই তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় ঝালকাঠির বিভিন্ন বাজারে খোলা তেল বিক্রয়বিরোধী সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, রমজানে সবগুলো পণ্যেরই চাহিদা দ্বিগুণ বেড়ে যায়। এ সুযোগে মজুতদারিরা সুবিধা ভোগ করে। ভোক্তা অধিকার মজুতদারিদের বিরুদ্ধে এবার কঠোর ব্যবস্থা নেবে। প্রয়োজনে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে। ভোক্তা অধিকার গোডাউনগুলোতে অভিযান চালাচ্ছে। কোথাও যদি সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হয়, এ ধরনের তথ্য পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভোক্তা অধিকার ইতোমধ্যেই পাইকারি বাজারে মনিটরিং করছে। রমজানের শুরুতেই অনেকে এক মাসের পণ্য কিনেন, তাতে বাজারে পণ্যের ওপর চাপ পড়ে। এতে সরবরাহে সমস্যা দেখা দেয়। এ সময় অসাধু ব্যবসায়ীরা এই সুযোগটা গ্রহণ করে দাম বাড়িয়ে দেয়। ভোক্তাদের কাছে পরামর্শ হচ্ছে, একসঙ্গে পণ্য না কিনে ধাপে ধাপে কিনলে বাজারটা অস্থির হবে না।
খোলা তেল মার্কেট থেকে উঠিয়ে নেওয়া হবে জানিয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, খোলা তেল পরিহার করতে হবে, বোতলজাত তেলের মধ্যে ভিটামিন এ পাওয়া যাচ্ছে, তাই বোতলজাত করা তেল কিনতে হবে। খোলা তেল কোথা থেকে আসছে, কোন কোম্পানির তা শনাক্ত করা যাচ্ছে না। তাই কাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো, তা-ও বোঝা যাচ্ছে না। খোলা তেল আমরা মার্কেট থেকে উঠিয়ে নেবো। কারণ, এতে স্বাস্থ্যের মারাত্মক ঝুঁকি আছে।
বাজার মনিটরিং শেষে চেম্বার অব কমার্স কার্যালয়ে ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময়য় করেন ভোক্তা অধিকারের মহাপারচালক। পরে তিনি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী ও সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক ফকির মোহাম্মদ মুনাওয়ার, বিভাগীয় উপপরিচালক অপূর্ব অধিকারী, ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক ফারাহ গুল নিঝুম ও ঝালকাঠি ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সাফিয়া সুলতানা।
মন্তব্য করুন