সীমান্তের বাসিন্দাদের জন্য খোলা হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্র
বান্দরবান-মিয়ানমার সীমান্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান পরিস্থিতির কারণে জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ২৪০ পরিবারকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গত সোমবার মর্টার শেল বিস্ফোরিত হয়ে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমের জলপায়তলী সীমান্তে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র খুলেছে বান্দরবান জেলা প্রশাসন।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) পার্বত্য বান্দরবান জেলার জেলা প্রশাসক (ডিসি) শাহ মোজাহিদ উদ্দিন সীমান্ত পরিদর্শনে এসে এসব কথা জানান।
তিনি জানান, মিয়ানমারে চলমান সংঘর্ষের জেরে উত্তেজনা চলছে বাংলাদেশ সীমান্তে। আমরা সীমান্ত এলাকার মানুষের আশ্রয়ের জন্য ২টি আশ্রয় কেন্দ্র খুলেছি।
সীমান্ত এলাকার মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। যদি ঝুঁকিপূর্ণ মনে হয় তাহলে সবাইকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাব।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের পরিস্থিতি আগের চেয়ে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলেও জানান জেলা প্রশাসক।
এ বিষয়ে বান্দরবান পার্বত্য জেলার পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন বলেন, আমরা বিজিবি, পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থা এবং জেলা প্রশাসন একসঙ্গে কাজ করছি। বিজিবি আমাদের কাছ থেকে যে ধরনের সহায়তা চাওয়া হয়েছে তা আমরা করছি। আরও সহায়তা লাগলে আমরা করবো।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, আমরা সবচেয়ে বেশি জোর দিচ্ছি রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে। এই এলাকার মানুষের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে আমরা বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করেছি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
মন্তব্য করুন