‘আশ্রয় নেওয়া ২৬৪ জনকে মিয়ানমার ফিরিয়ে নিতে প্রস্তুত’
আরাকান আর্মির সঙ্গে সংঘর্ষের মধ্যে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ২৬৪ জনকে দেশটি ফিরিয়ে নিতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু ও ঘুমধুম সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
অবৈধভাবে কোনো রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়া হবে না জানিয়ে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, এটি মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সমস্যা। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কোনো রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে বিষয়টি সত্য নয়। তারপরও সীমান্তে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিবি সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত রয়েছে বলে তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। সে লক্ষ্যে সীমান্তে দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের জন্য বিজিবি সদস্যের নির্দেশ দেন তিনি।
বিজিবি মহাপরিচালক আজ সকালে কক্সবাজার রিজিয়নের আওতাধীন বাংলাদেশ—মিয়ানমার সীমান্ত পরিদর্শনের পূর্বে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
এরপর বিজিবির কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের (৩৪ বিজিবি) দায়িত্বপূর্ণ বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু ও ঘুমধুম সীমান্ত পরিদর্শন করেন তিনি।
পরিদর্শনকালে বিজিবি মহাপরিচালক সীমান্তে দায়িত্বরত সকল পর্যায়ের বিজিবি সদস্যদের খোঁজখবর নেন এবং তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় তিনি দেশমাতৃকার সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সবাইকে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন এবং পাশাপাশি সীমান্তে উদ্ভূত যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দেন।
এরপর বিজিবি মহাপরিচালক মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘর্ষের জেরে প্রাণ বাঁচাতে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণকারী মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি), মিয়ানমার সেনাবাহিনী, ইমিগ্রেশন সদস্য, পুলিশ ও অন্যান্য সংস্থার সদস্যদের খোঁজখবর নেন।
সাংবাদিকদের বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, সীমান্ত পরিস্থিতি সম্পূর্ণ বিজিবির নিয়ন্ত্রণে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মেনে ধৈর্য ধারণ করে, মানবিক থেকে এবং আন্তর্জাতিক সুসম্পর্ক বজায় রেখে পরিস্থিতি মোকাবিলার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি।
এ সময় বিজিবি মহাপরিচালকের সঙ্গে বিজিবি সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, কক্সবাজার রিজিয়ন কমান্ডার, রামু সেক্টর কমান্ডার ও কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের অধিনায়কসহ বিজিবির অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষের জেরে এখন পর্যন্ত মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি), মিয়ানমার সেনাবাহিনী, পুলিশ, ইমিগ্রেশন সদস্য ও অন্যান্য সংস্থার ২৬৪ জন সদস্য বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) তাদেরকে সম্পূর্ণ নিরস্ত্রীকরণ করে নিরাপদ আশ্রয় এবং আহতদের চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে।
মন্তব্য করুন