কেন্দুয়ায় তামাক চাষে ঝুঁকছে কৃষক, বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি
নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় জমিতে ফলন ভাল ও আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ায় দিন দিন বেড়েই চলেছে ক্ষতিকর তামাকের চাষ। অনেক চাষি এই তামাকের চাষের কুফল সম্পর্কে তেমন জানেন না। ফলে স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়েই তামাক চাষে মনোযোগী হয়ে উঠছেন তারা।
কেন্দুয়া কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার চিরাং ও পাইকুড়া ইউনিয়নে তামাক চাষ হয়। দুল্লী, বৈরাটী, চর বৈরাটি ও নওপাড়া গ্রামের আবাদ হয় বেশি। কৃষি অফিসের হিসেব মতে এবছর ৭ হেক্টর জমিতে তামাক চাষ হয়েছে। তবে স্থানীয়দের বলছেন এরচেয়ে অধিক জমিতে তামাক চাষ হয়।
বৈরাটি গ্রামের তামাক চাষি গিয়াসউদ্দিন বলেন, আমাদের পূর্বপুরুষ থেকেই আমরা তামাক চাষ করে আসছি। এতে আমাদের কোনো ক্ষতি হয় না। এবছর ৬ কাঠা জমিতে তামাক চাষ করেছেন তিনি।
অন্যান্য ক্ষেতে সবজিসহ ধান ফসলও আবাদ করেছেন। তামাক ফসলে ধানের চেয়ে লাভ বেশি। এক কাঠা ক্ষেতে ৩ মন তামাক হয়। দুইশ টাকা ধরে বিক্রয় করলে ২৪ হাজার টাকা হয়। সব মিলে উৎপাদন খরচ হয় ৩ হাজার টাকা।
আর এক কাঠা ক্ষেতে ধান হয় ৭/৮ মন। উৎপাদন খরচ লাগে প্রায় আড়াই হাজার টাকা। ধানের চেয়ে দ্বিগুণ লাভ হয় তামাকে। শ্রম একটু বেশি লাগে। তামাক ক্ষেতে পোকামাকড় দমনে স্থানীয় কৃষি অফিসারসহ কীটনাশক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে পরামর্শ নেন বলেও জানান তিনি। এমন বক্তব্য শুধু গিয়াসউদ্দিনের নয় এলাকায় অধিকাংশ কৃষকের।
উপজেলা কৃষি অফিসার শারমিন আক্তার বলেন, এবছর ৭ হেক্টর জমিতে তামাক চাষাবাদ হয়েছে। তামাক চাষে কৃষকদের নিরুৎসাহি করা হয়। গত বছরের তুলনায় এবছর তামাক আবাদ কমেছে বলেও দাবি তার।
মন্তব্য করুন