• ঢাকা রোববার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo

আত্মগোপনে গিয়ে অপহরণ নাটক, অতঃপর...

নোয়াখালী প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:০৭
আত্মগোপনে গিয়ে অপহরণ নাটক, অতঃপর...
ছবি : আরটিভি

আত্মগোপনে গিয়ে অপহরণের নাটক সাজিয়ে প্রতারণার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে নোয়াখালী জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

গ্রেপ্তারকৃত কথিত ভিকটিমের নাম শেরআলী (৩২)। সে জেলার কবিরহাট উপজেলার নলুয়া গ্রামের সামছুদ্দিনের ছেলে।

সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে নোয়াখালী গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দিন আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে, গতকাল রোববার রাত ৯টার দিকে কক্সবাজার পৌর বাস টার্মিনালের মারছা বাস কাউন্টারের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অপহরণের নাটক সাজিয়ে ভিকটিম নিজেই আত্মগোপনে ছিলেন। এরপর ভিকটিম তার চাচাকে দিয়ে অপহরণ মামলা দায়ের করান।

পুলিশ জানায়, জেলার হাতিয়া বাজার এলাকার মোবারকের (৩২) সঙ্গে শেরআলী চট্টগ্রামের হালিশহর এলাকায় একই সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালাতেন। সেই সুবাদে শেরআলীর সঙ্গে ওস্তাদ সাগরিদ সম্পর্ক গড়ে ওঠে মোবারকের। ২০২২ সালের ২২ জুলাই মোবারক মোটরসাইকেল ক্রয় করতে শেরআলীকে নিয়ে চট্টগ্রাম কাপ্তাই রাস্তার মাথাধীন মৌলভীবাজার মোটরসাইকেল শোরুমে যান। মোবারক লুঙ্গি পরে যায় এবং কথিত ভিকটিম শেরআলী প্যান্ট পরে যাওয়ায় সে মোবারককে মোটরসাইকেল কেনার টাকা তার নিকট রাখার জন্য বললে মোবারক মোটরসাইকেল কেনার এক লাখ ২০ হাজার টাকা ও ১টি অ্যান্ড্রয়েট মোবাইল সেট শেরআলীর কাছে রাখতে দেন।

পুলিশ আরও জানায়, মোবারক মোটরসাইকেল শোরুমে ঢুকে মোটরসাইকেল দরদাম করে মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন করার জন্য ছবি ও ভোটার আইডি কার্ড প্রিন্ট করার জন্য অন্য দোকানে গেলে এ সুযোগে শেরআলী মোবারকের টাকা ও মোবাইল সেট নিয়ে পালিয়ে নিজ এলাকায় চলে আসেন। ২০২২ সালের ২২ সেপ্টেম্বর মোবারক ও তার বন্ধু ইউসুফ নলুয়া জনতা বাজারে এসে উক্ত বিষয়ে স্থানীয় লোকজনকে জানালে সেখানে সালিশ বৈঠক হয়। সালিশে বিষয়টি অমীমাংসিত থাকায় স্থানীয় লোকজন বিষয়টি সমাধানের জন্য হাতিয়ার হরণী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আক্তার হোসেনের শরণাপন্ন হয়। একই দিন মোবারক ও শেরআলী হরণী ইউনিয়নের বয়ারচর বাজারে যায়। সেখানে মোবারক শেরআলীকে দোতলা বিল্ডিংঘরে রেখে চেয়ারম্যানকে আনতে গেলে ভিকটিম কৌশলে পালিয়ে যান।

ভুক্তভোগীরা জানান, পরবর্তীতে তার চাচা দেলোয়ার হোসেন বিটু শেরআলী ও তার ছেলে মারুফ অপহরণ হয়েছে বলে দাবি করেন। তার সঙ্গে জায়গা-জমি নিয়ে পূর্ব বিরোধ থাকা শামছুল হক মাঝিসহ ওই এলাকার আরও ৯ জনের বিরুদ্ধে ২০২২ সালের ১২ জুলাই আদালতে অপহরণ মামলা দায়ের করেন তার চাচা। আদালতের নির্দেশে কবিরহাট থানায় উক্ত বিষয়ে নিয়মিত মামলা রুজু হয়। মামলাটি রুজু হওয়ার পর কবিরহাট থানা পুলিশ তদন্ত করে। পরবর্তীতে মামলার তদন্তভার ডিবি নোয়াখালীতে ন্যস্ত হয়।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দিন আহমেদ বলেন, কথিত ভিকটিম শেরআলী পেশায় একজন ড্রাইভার। সে খুবই চতুর ও ধূর্ত প্রকৃতির। সে ঘনঘন মোবাইল সিম পরিবর্তন করায় তার সঠিক অবস্থান নির্ণয় করা কঠিন হয়ে পড়ছিল। তার মোবাইল নাম্বারের কললিস্ট পর্যালোচনায় দেখা যায়, সে কক্সবাজার, বান্দরবান, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, কুমিল্লা, নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা, গাজীপুর, মুন্সীগঞ্জসহ একেক সময় একেক স্থানে অবস্থান করেছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। কথিত ভিকটিম শেরআলীকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিজ্ঞ আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

Bangal
rtv Drama
Radhuni
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
কারা কর্তৃপক্ষের ‘ভুলে’ মুক্তি পেয়ে আত্মগোপনে ফাঁসির দুই আসামি
আত্মগোপন থেকে প্রকাশ্যে, গোপন তথ্য ফাঁস করলেন আফ্রিদি
আত্মগোপনে ইউপি চেয়ারম্যানরা, স্থবির সেবা কার্যক্রম
অবশেষে বিয়ে নিয়ে মুখ খুললেন আত্মগোপনে থাকা আফ্রিদি