• ঢাকা সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo

সরকারি অধিদপ্তরের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত জমি দখলের অভিযোগ

আরটিভি নিউজ

  ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:২৮
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর
ছবি : আরটিভি

গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার টেংরাখোলায় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত জমিতে বাজারের স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমনকি অবকাঠামো নির্মাণে আদালতের নিষেধাজ্ঞা টাঙানো থাকলেও তা আমলে নেওয়া হয়নি।

বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে দেখা যায়, মুকসুদপুরের দক্ষিণ চণ্ডীবরদী গ্রামের মৃত গিয়াসউদ্দিন সরদারের ছেলে এস এম পলাশ মাহমুদের দাবিকৃত জমিতে টেংরাখোলা বাজারে ওয়েট মার্কেটের জন্য আধাপাকা ভবন নির্মাণ করছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।

এস এম পলাশ মাহমুদ অভিযোগ করেন, তার জমিতে অবকাঠামো নির্মাণ বন্ধ করতে অনুরোধ করার পরও কেউ তার কথা শোনেনি। বরং জমির দখল ছেড়ে দিতে নানা রকম হুমকিও দিচ্ছে প্রভাবশালীরা।

পলাশ জানান, হাটবাজার বসানোর অভিপ্রায়ে ১৯৬৩ সালে আমার দাদা মৃত আজহার সরদারের কাছ থেকে বর্তমান টেংরাখোলা বাজার সংশ্লিষ্ট ৭০ শতাংশ জমি অধিগ্রহণ করে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার। কিন্তু কোন টাকা পরিশোধ করেনি। পরবর্তীতে ১৯৮২ সালে বাংলাদেশ সরকার জমিটি অবমুক্ত করে দেয়। এরপর থেকেই আমরা এই জমিতে দোকানপাট তুলে ভোগদখল করে আসছি। কিন্তু স্থানীয় প্রভাবশালীরা প্রশাসনের যোগসাজশে জমি থেকে দোকানপাট উচ্ছেদ করতে আসলে আমি আইনি সহায়তা নিই।

তিনি বলেন, জমির মালিকানা নিশ্চিত করতে ২০০৫ সালে সরকারকে বিবাদী করে মামলা করি আমরা। ২০০৯ সালে সেই মামলার রায় আমাদের পক্ষে দেন যুগ্ম-জেলা জজ আদালত। তারই প্রেক্ষিতে বাবা হয়ে ওয়ারিশ সূত্রে ১৮.৫৬ শতাংশ জমি আমার মালিকানায়। কিন্তু গেলো বছরের ২৩ মার্চ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে আমার দোকানঘর ভেঙে ফেলে বাজারের অবকাঠামো নির্মাণের হুমকি দেন পৌর মেয়র। এর প্রেক্ষিতে আমি আবার আদালতের শরণাপন্ন হই। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে অন্যদের নালিশি ভূমিতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞাসহ আমার বর্তমান দখল বজায় রেখে স্থিতি অবস্থা জারি করেন সিনিয়র সহকারী জজ আদালত।

তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে বিজ্ঞাপন টানানো থাকলেও নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পকে ওয়েট মার্কেট নির্মাণের অনুমতি দেন পৌর মেয়র ও ইউএনও। বিষয়টি জেলা প্রশাসককে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। আমার জমি প্রভাবশালীদের অবৈধ হস্তক্ষেপ বন্ধে সবার সহযোগিতা কামনা করছি।

এ বিষয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে মুকসুদপুর পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম শিমুল বাজার নির্মাণের সঙ্গে সব ধরনের দায়বদ্ধতা অস্বীকার করেন।

তিনি বলেন, ওয়েট বাজার নির্মাণের প্রজেক্ট প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের, এখানে পৌরসভার কোনো হাত বা নিয়ন্ত্রণ নেই। সহকারী ভূমি কর্মকর্তা (এসিল্যান্ড) অমিত কুমারের পরামর্শে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমাম রাজি টুলু এ জমি প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরকে বরাদ্দ দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, এটি সরকারি খাস জমি। আমি আইন-আদালত ভালো বুঝি না তাই অবকাঠামো নির্মাণে আদালতের নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে কিছু বলতে পারবো না।

মুকসুদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমাম রাজি টুলুও এটাকে সরকারি খাস জমি বলে দাবি করে বলেন, খাস জমি রক্ষা করার দায়িত্ব প্রশাসনের। তাই আমি একে রক্ষা করার চেষ্টা করছি।

কিন্তু পরক্ষণেই জমিটি ব্যক্তিগত নামে রেজিস্ট্রেশন হবার কথা স্বীকার করে ইউনএও বলেন, ভুল করে সরকারের জমি ব্যক্তির নামে রেকর্ড হয়েছে। এটা ফিরে পেতে আমরা মামলা করেছি। আশা করি রায় পক্ষে পাব।

তবে আদালতের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও কেন এই জমিতে কাজ শুরু হলো? -এমন প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান ইউএনও ইমাম রাজি টুলু।

মন্তব্য করুন

Bangal
rtv Drama
Radhuni
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ইসরায়েলে লাউড স্পিকারে আজান দেওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা 
‘আমার বয়স ১৭, বাবার জেলে থাকার বয়সও ১৭’
বিচারিক আদালতের বিচার অবৈধ বলেছেন হাইকোর্ট: শিশির মনির
চাঁদপুরে আদালত প্রাঙ্গণ পরিচ্ছন্ন রাখতে কর্মসূচি পালন