বরই খেয়ে দুই শিশুর মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা, অনুসন্ধানে বিশেষজ্ঞ দল
তিন দিনের ব্যবধানে বমি ও জ্বর হয়ে দুই শিশুর মৃত্যুর কারণ জানতে রাজশাহীতে পৌঁছেছে আইইডিসিআরের বিশেষজ্ঞ দল। রোগ তত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআরের রিপোর্ট বলছে তারা নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়নি। ফলে কোনো ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে কি না, তা যাচাই বাছাই ও নমুনা সংগ্রহের জন্য আইইডিসিআরের একটি দল রাজশাহীতে গেছে।
রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ডা. শামীম আহমেদ।
রামেক পরিচালক বলেছেন, রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে আইইডিসিআরের একটি বিশেষজ্ঞ দল রাজশাহীতে এসেছে। এরই মধ্যে দলটি হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা মৃত দুই শিশুর বাবা ও মায়ের সঙ্গে কথা বলেছেন। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) তারা আরও তথ্য সংগ্রহের জন্য চারঘাটে যাবেন। সেগুলো বিশ্লেষণের পর জানা যাবে কীসের কারণে তারা মারা গেছেন।
পরিচালক আরও জানান, মৃত শিশুর দুই বাবা-মা হাসপাতালে সুস্থ আছেন। তাদের অন্য কোনো উপসর্গ দেখা দেয়নি।
ওই দুই শিশুর বাবা মঞ্জুর হোসেন রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের গণিত বিভাগের শিক্ষক। তারা ক্যাডেট কলেজের কোয়ার্টারেই ছিলেন। ছোট মেয়ের মৃত্যুর পর গ্রামে ফিরে গিয়েছিলেন। তাদের বাড়ি রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার চুনিয়াপাড়া গ্রামে।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি সকালে ছোট মেয়ে মারিশার জ্বর আসে। বিকেলে হাসপাতালে নেওয়ার পথেই মাইক্রোবাসে মারা যায়। মৃত্যুর পর মা-বাবা লক্ষ্য করেন, মারিশার গায়ে কালো ছোপ ছোপ দাগ উঠেছে। ওই দিন রাতেই তাকে দাফন করা হয়। এক দিন পর শুক্রবার বড় মেয়ে মাসিয়ার একই লক্ষণসহ জ্বর আসে। সে-ও ছোট বোনের মতো বমি করছিল আর ঘন ঘন পানি খাচ্ছিল। লক্ষণ বুঝতে পেরে মা-বাবা দেরি করেননি। রাজশাহীর সিএমএইচে ভর্তি করেন।
মন্তব্য করুন