নিখোঁজের ২০ ঘণ্টা পর নদী থেকে মাদরাসা ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার
গাজীপুরের কালীগঞ্জে নিখোঁজের ২০ ঘণ্টা পর পারুলী নদী থেকে মাদরাসা ছাত্র তাওহীদ শিকদারের (১৪) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সে উপজেলার বক্তারপুর ইউনিয়নের ভাটিরা গ্রামের সৌদি প্রবাসী কাউসার শিকদারের ছেলে।
বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের নরুন এলাকার পারুলী নদী থেকে ওই নিখোঁজ ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
জাঙ্গালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য সোহেল রানা জানান, মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলের পর থেকে তাওহীদ শিকদারকে মাদরাসা ও আশপাশের এলাকায় খোঁজে পাওয়া যায়নি। বিষয়টি মাদরাসা কর্তৃপক্ষ ওই ছাত্রের পরিবারকে জানায়। এরপর থেকে পরিবারের সদস্যরা তাওহীদকে সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজাখুজি করে কোনো সন্ধান পাননি। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে স্থানীয়রা মাদরাসা থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে পারুলী নদীতে একটি মরদেহ ভাসতে দেখেন। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে নিখোঁজ তাওহীদের স্বজনরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তার মরদেহ শনাক্ত করেন। খবর পেয়ে পুলিশ দুপুর ১২টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করে। সে নরুন হিজবুল্লাহ হাফিজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানার হিফয বিভাগের শিক্ষার্থী ছিল।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মাদরাসার দায়িত্বশীল একজন জানান, মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মাদরাসা সংলগ্ন ফাইজুল্লার দোকান থেকে না বলে একটি কেক নেয় তাওহীদ। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ফায়জুল্লাহ তাওহীদকে আটক করে মাদরাসায় খবর দেয়। মাদরাসা কর্তৃপক্ষ ওই ছাত্রকে ফাইজুল্লার কাছ থেকে নিয়ে আসার সময় সে ভয়ে কান্না করছিল। মাদরাসায় নিয়ে আসার পর বিকেলে থেকে সে নিখোঁজ হয়।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাতাব উদ্দিন বলেন, পারুলী নদী থেকে মাদরাসা ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সুরতহাল প্রতিবেদনে নিহতের শরীরের কোথাও কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের মরদেহ গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
মন্তব্য করুন