লিমন হত্যাচেষ্টা মামলা পুনঃতদন্তে সিআইডিকে নির্দেশ
ঝালকাঠিতে ছয় র্যাব সদস্যর বিরুদ্ধে তৎকালীন কলেজ ছাত্র লিমন হত্যাচেষ্টার মামলা পুনঃতদন্তের জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঝালকাঠির জ্যেষ্ঠ বিচারিক আদালতের বিচারক এএইচএম ইমরানুর রহমান এ আদেশ দেন।
এর আগে ছয় র্যাব সদস্যকে অব্যহতির সুপারিশ করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছিল পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে ২০২২ সালের ৫ ডিসেম্বর ঝালকাঠির জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে লিমনের মা হেনোয়ারা বেগম নারাজি দাখিল করেন। বুধবার দুপুরে নারাজির শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিতে অংশ নেন লিমনের মায়ের আইনজীবী আক্কাস সিকদার।
লিমনের মায়ের আইনজীবী আক্কাস সিকদার জানান, ২০১১ সালের ২৩ মার্চ ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার সাতুরিয়া গ্রামে বরিশাল র্যাব-৮ এর সদস্যরা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালায়।
এ সময় তৎকালীন কলেজ ছাত্র লিমন হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়। লিমনকে বাঁচাতে তাঁর একটি পা কেটে ফেলেন চিকিৎসকরা।
এ ঘটনায় লিমনের মা বাদী হয়ে ২০১১ সালের ১০ এপ্রিল তৎকালীন সময়ে বরিশাল র্যাব-৮ এর ডিএডি লুৎফর রহমানসহ ছয় র্যাব সদস্যর নামে ঝালকাঠির আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি প্রথমে রাজাপুর থানার তৎকালীন এসআই আব্দুল হালিম তালুকদার তদন্ত করেন।
তিনি ২০১২ সালের ১৪ আগস্ট আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। লিমনের মা ওই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে রিভিশন দায়ের করেন। আদালত রিভিশন মঞ্জুর করে পুনরায় মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন।
দীর্ঘদিন তদন্ত শেষে পিবিআই এর প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম ২০২২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
প্রতিবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, লিমন গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা সত্য, তবে কারা তাকে গুলি করেছে তার কোন সাক্ষি প্রমান পাওয়া যায়নি। এ কারণে তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
এই চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে লিমনের মা হেনোয়ারা বেগম আদালতে নারাজি দাখিল করেন। লিমনের মায়ের দাবি, তাঁর ছেলে কোন সন্ত্রাসী ছিল না। একটি ভালো ছেলেকে র্যাব গুলি করে পঙ্গু করে দিয়েছে। এ ঘটনার তিনি সুষ্ঠু ও সঠিক বিচার দাবি করেন।
মন্তব্য করুন