সাংবাদিকতা করা হলো না তুষার হালদারের : পরিবারে চলছে মাতম
সাংবাদিকতা করা হলো না তুষার হালদারের। রাজধানীর বেইলি রোডে সাততলা ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সদ্য স্নাতক শেষ করা ঝালকাঠির সন্তান তুষার হালদারের মৃত্যু হয়েছে।
নিহত তুষার হালদার ‘স্টার টেক’ নামের একটি আইটি কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন। আগে তিনি ‘দ্য রিপোর্ট’ অনলাইনে ভিডিও এডিটর হিসেবে কাজ করতেন।
শুক্রবার (১ মার্চ) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গ থেকে ছেলের মরদেহ নিয়ে ঝালকাঠি আসেন তার বাবা দীনেশ হালদার।
তুষার ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। রাজধানীর খিলগাঁও এলাকায় থাকতেন তিনি। তার গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া উপজেলার শৌলজালিয়া ইউনিয়নের তালগাছিয়া গ্রামে।
তুষারের স্বজনরা জানান, বন্ধুদের সঙ্গে কনভোকেশন নিয়ে নানান পরিকল্পনা ছিলো তার। বাবা-মাকেও কনভোকেশনে নেওয়ার জন্য টাকা জমা দিয়েছিলেন তুষার। এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তুষার হালদার গ্রামের বাড়িতে চলছে মাতম।
শৌলজালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদ হোসেন রিপন জানান, তুষার ছিল তার বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান এবং খুবই মেধাবী। সাংবাদিকতা পেশায় নিজেকে নিয়োজিত করার জন্য ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক করেছে সে। লেখাপড়ার জন্য সে ঢাকায় থাকতো। তার এ অকাল মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
মন্তব্য করুন